বিদেশের খবর: এশীয় ক্রেতাদের জন্য জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণে বাড়িয়েছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন ও বিপণন কোম্পানি সৌদি আরামকোর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি আগস্ট থেকে দেশটির জ্বালানি তেলের এশীয় ক্রেতাদের প্রতি ব্যারেল তেলের জন্য অতিরিক্ত ৫০ সেন্ট (হাফ ডলার) বেশি দিতে হবে। অতীতে এশীয় ক্রেতাদের জন্য সৌদি আরবের প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম এই পরিমাণ বৃদ্ধির তথ্য নেই।
খবরে বলা হয়, সৌদি আরব তার বেশিরভাগ তেল এশিয়ায় বিক্রি করে। চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেত।
মন্থর অর্থনীতি অপরিশোধিত তেলের বৈশ্বিক চাহিদাকে আঘাত করতে শুরু করেছে এমন ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও সৌদি আরামকো এশিয়ান শোধনাগারগুলোতে পরের মাসে চালানের জন্য তার আরব লাইট গ্রেডকে (হাই সালফার ক্রুড ওয়েল) মধ্যপ্রাচ্যের বেঞ্চমার্কের উপরে ব্যারেল প্রতি দাম বাড়িয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে দেশটির সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর একটি কারণ হলো, গতকাল বুধবার সৌদি আরব ও রাশিয়ার জ্বালানি তেল বাণিজ্য বিষয়ক জোট ওপেক প্লাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসে সৌদি আরবে জ্বালানি তেলের উৎপাদন কম হয়েছে।
নিজেদের জ্বালানি তেলের এশীয় ক্রেতাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য বৈশ্বিক ক্রেতাদের তুলনায় কিছু ছাড় দেয় সৌদি আরব। কিন্তু ওপেক প্লাসের এই বিবৃতির একদিন পরই তেলের দাম বাড়িয়ে বিবৃতি দিল আরামকো।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ফলে বিশ্বজুড়েই বাড়তে থাকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গত মে-জুন মাসে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানির দাম ছুঁয়েছিল ১৩০ ডলারের মাইলফলক; যা বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।