নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রকৌশলী জাকির হোসেনের যোগসাজসে ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপি প্রকল্পের কাজ না করে ১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে।
করোনাকালীন সময়ে কবে, কোথায়, কিভাবে ওই প্রকল্পের টাকা ব্যয় হয়েছে সেটি জানেননা জানিয়ে ওই প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ২০২১- ২২ অর্থবছরে এডিপি প্রকল্পের অধীনে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে মার্কস বিতরণ এবং খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন। তবে ওই অর্থবছরে কোন কাজ না করে উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে টাকা উত্তোলন করে সেই টাকা উপজেলা প্রকৌশলী ও শাফিয়া পারভীন আত্মসাৎ করে।
গত ২৭ জুলাই উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর নির্দেশে চিঠি দিয়ে প্রকল্পে কাজের মালামাল /মাস্টার রোলের কাগজপত্র জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও রহস্যজনক কারণে তা অফিসে ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে রবিবার চিঠি দেওয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে এখনো চিঠি দেয়া হয়নি। আর চিঠি না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান শাফিয়া পারভীন বলেন, আমি প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে করেছি। আমার প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে এইসব মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তবে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন কাজ না করার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কাজ না করায় চেয়ারম্যান সাফিয়া এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে চিঠি দেওয়া হবে। আপনার প্রত্যায়নে টাকা তুলে আপনারা ওই আত্মসাৎ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থবছরের মধ্যে কাজ না করলে টাকা ফিরে যায় এজন্য অনেকেই কাজ না করলেও প্রত্যায়ন দেওয়া হয়। সেই টাকার কাজ তারা পরে করে। এছাড়া ওই প্রত্যায়নে শুধু আমার একার স্বাক্ষর ছিলনা। ওই প্রত্যায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছিল। শাফিয়া পরভীন ওই টাকার কিছু কাজ করেছেন এবং বাকী কাজ এখন করবেন। এছাড়া টাকা আত্মসাতের ভ্যাপারে যে কথা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।