নিজস্ব প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ডাবল হত্যা মামলার কতিপয় আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে নিহতের পরিবারসহ বাদীকে মামলা তুলে নিতে খুন জখমের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামের মৃত কাদের শেখ এর ছেলে সোবহান আলী শেখ।
তিনি বলেন গত ৮ জুলাই ২২ তারিখে রামজাননগর ইউপির ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমার দাদা আব্দুল বারির নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা চলছিল।
এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর ও লাল্টু বাহিনীর প্রধান মৃত মান্দার গাজীর পুত্র আব্দুল হামিদ লাল্টুর নেতৃত্বে আনিছুজ্জামান আনিচ, কালিঞ্চি গ্রামের মৃত.জিয়াদ গাজীর পুত্র ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বর আজগর আলী বুলু, শোকর আলী, লাল্টুর পুত্র মোখলেছুর রহমান মিলন, মেহেদী হাসান বাবু, আনিছুজ্জামানের পুত্র বাদশা গাজী, জেহের আলী গাজীর পুত্র আবু সুফিয়ান, জলিল মোড়লের পুত্র মহাসিন মোড়ল, আবু বাক্কারের পুত্র আলমগীর মালী, কালিঞ্চি গ্রামের ফরিদ গাজী ওরফে কেনার পুত্র ফারুক গাজী, পাশের্^খালী গ্রামের মোহাম্মাদ মোল্যার পুত্র সোবহান মোল্যা, আল আমিন মোল্যা, আব্দুর বারী গাজীর পুত্র জালাল গাজী, সাকাত মোল্যার পুত্র আব্দুল্লাহ মোল্যা, নেদু গাজীর পুত্র সুন্নত গাজী, আরশাদ গাজীর পুত্র বাবলু গাজী, তোরাপ আলী সরদারের পুত্র জাকির সরদারসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতকির্ত হামলা করে।
এসময় তারা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থল্টে আমার পিতা আব্দুল কাদের শেখ নিহত হন। এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বারির ভাইপো আমির হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বারি বাদী হয়ে ৭৩ জনের নাম উল্লেখ আরো ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ১নং আসামী লাল্টুসহ মোট ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১নং আসামী বাদে ৪৫ জন আসামী আদালত থেকে জামিন লাভ করে। জামিন পাওয়া আসামীরা এলাকায় ফিরে নিহতের পরিবারসহ স্বাক্ষী এবং মামলা বাদীকে মামলা তুলে নিতে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে।
এঘটনায় মামলার বাদী নিরাপত্তা চেয়ে শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং ৯০, তাং ২ আগস্ট ২২। তারা আবারো সংঘটিত হয়ে অত্র এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আসামী লাল্টু সুন্দরবনের বনদস্যু এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। জামিন পাওয়া আসামীরা প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে বলছেন “ লাল্টু জামিনে বের হলেই পূর্বের চেয়ে আরো বড় ধরনের সহিংসতা ঘটবে” মামলা তুলে না নিলে আমাদের গ্রাম ছাড়া করবে। তাদের হুমকিতে আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমার পিতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিসহ ন্যায় বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।