নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া চলাকালে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুৃষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় তালা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর আলী সরদার, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমাণ্ডের তালা শাখার আহবায়ক শহীদুর রহমান লিটু, তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ি গত ২৫ ফেব্র“য়ারি থেকে তালা উপাজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ কমিটির আহবায়ক হলেন বীর মুক্তিযোদ্বা আব্দুস সোবহান, সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস ও সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার।
এ প্রক্রিয়া চলাকালে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে বহু অপকর্মের নায়ক দক্ষিণ শার্শার মুক্তিযোদ্ধা তবিবুর রহমান প্রতারণা ও দূর্ণীতির দায়ে অবহাওয়া অফিস থেকে বরখাস্ত হওয়া জামাতা শফিকুল মল্লিককে নিয়ে সম্প্রতি পরিকল্পিতভাবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণনগরের ললিত মোহন সাহা দু’ ছেলে প্রতাপ সাহা ও বীরেন্দ্র নাথ সাহার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন।
সম্প্রতি তবিবুর রহমান যাচাই বাছাই কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানকে ম্যানেজ করে তাকে দিয়ে ললিত মোহন সাহার সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছেন। তাদেরকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উল্লেখ করে চাকুরিচ্যুত করার জন্য বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ করে চলেছেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান ও তবিবুর রহমান যাচাই বাছাই কমিরি সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস ও সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকারকে হুমকি দিয়ে চলেছেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ওই দুই সদস্যের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে মিথ্যাচার। এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বিধি সম্মতভাবে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে পাঠাতে হবে। যারা প্রতিদিন সরদার মশিয়ার রহমান, ওয়াকার্স পার্টির নেতা ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাব্বির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা অমল ঘোষ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা অজয় ঘোষসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যাচার করে চলেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।