নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবন্ধীরা আমাদেরই সন্তান। তারা আমাদের বোঝা নয়। তাদেরকে শারীরিকভাবে সুস্থ করে সমাজের মূলধারায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সাতক্ষীরার স্বাস্থ্যসেবাধর্মী কিছু সরকারি বেসরকারি সংস্থা। সোমবার সাতক্ষীরায় ডিআরআরএ আয়োজিত এক বৈঠকে একথা বলেন বক্তারা। তারা বলেন সমাজের প্রতিবন্ধীদের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণ, তাদের চিকিৎসায় মনোযোগী হওয়া এবং সর্বোপরি তাদেরকে জনশক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে হলে এই তৎপরতা বাড়িয়ে দিতে হবে। শহরের পলাশপোলে ডিআরআরএ (ডিস্যাবলড রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাসোসিয়েশন) অফিসে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ষান্মাসিক বৈঠকে বলা হয়, গত ছয় মাসে ডিআরআরএ ৮৩ জন প্রতিবন্ধীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। থেরাপি সেন্টার থেকে ১১০০ জনকে থেরাপি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ার মত অবস্থায় ২৮৭ জনকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বহুলাংশে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া ডিআরআরএ বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি যেয়ে প্রতিবন্ধীর থেরাপি কিভাবে দিতে হয় তা শিখিয়ে দিয়ে আসছে। তাদেরকে নানা ধরনের সহায়ক উপকরন দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আশাশুনি, দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৬ জন সরকারি ডাক্তারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সেবাদান অব্যাহত আছে। সরকারের সহযোগিতার কারণে জেলায় প্রতিবন্ধী বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেবলমাত্র সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় ৪০০ জন নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী প্রতিমাসে ছয়শত টাকা ভাতা পাচ্ছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে প্রতিবন্ধীদের টিউশন ফিস হ্রাস করার আহবান জানানো হয় সরকারের প্রতি। দেশ জুড়ে আরও ৮০ হাজার প্রতিবন্ধীর তালিকা তৈরি হচ্ছে জানিয়ে বৈঠকে বলা হয় কোনো প্রতিবন্ধীই আর অনাদর অবহেলায় থাকবে না। সরকার এ ব্যাপারে বেশ সচেতন রয়েছে। এরই মধ্যে এসব বিষয়ে জরিপ চলছে। ডিআরআরএ ছাড়াও প্রতিবন্ধীদের সেবা দিচ্ছে রিশিল্পী, প্রতিবন্ধী সেবা সাহায্য কেন্দ্র এবং বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেন, সাংবাদিক এম. বেলাল হোসেন, খন্দকার আনিসুর রহমান, সিএম মো. মনিরুজ্জামান, এহসানুল করিম, মো. আমিনুর রহমান, সাহেরা খাতুন, মমতাজ বেগম প্রমুখ।