সাতক্ষীরা

লাবসার দরগা শরীফের খাদেমের বিরুদ্ধে কতিপয় ভূমিদস্যু কর্তৃক চাঁদাবাজির মামলাসহ খুন জখমের হুমকি

By daily satkhira

August 29, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার লাবসার পীর কুতুবুদ্দীন আরব, পীর সাহাবুদ্দীন আরব ও আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেবের দরগা শরীফের সম্পত্তি উদ্ধারের চেষ্টা করায় উক্ত দরগার খাদেমের বিরুদ্ধে কতিপয় ভূমিদস্যু কর্তৃক চাঁদাবাজির মামলাসহ খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের মৃত শেখ আলী আহম্মেদের পুত্র ভুক্তভোগী শেখ ফারুক হোসেন।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি থানাঘাটা পীর কুতুবুউদ্দীন আরব ও শাহাবুদ্দিন আরব মাজার শরীফের সাধারণ সম্পাদক (খাদেম)। লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটায় পীর কুতুবুউদ্দীন আরব, পীর শাহাবুদ্দীন আরব, পীর আলীসাহা ওরফে মিয়া সাহেবের দরগাহ শরীফের নামে গোপীনাথপুর মৌজায় ১৫৭৪ ও ৪৮২ নং এসএ খতিয়ানে (নিস্কর) মোট জমির পরিমান ৯ একর ৭৯ শতক জমি রয়েছে।

এছাড়া ৮১১৫/১৯৭৪ নং দলিলে আরো ২৯ শতক জমি বিগত ৯ ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালে পীরের নামে দান করেন শ্রী সন্তোষ রায়। এই ২৯ শতকসহ উল্লেখিত ৯একর ৭৯ শতক নিস্কর সম্পত্তি মৃত রুহুল কুদ্দুসের গংরা নিজেদের নামে রেকর্ড করেছেন। যার বর্তমান বি আর এস রেকর্ড নং ২৬৫, ৩৫৫, ৪৭৭, ১৫২৪, ১৯১২।

মৃত. রুহুল কুদ্দুসের পোতা মৃত কাজী আবু কালামের পুত্র দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিয়ন কাজী আবু কামাল, মৃত. কাজী আবুল হোসেনের পুত্র কাজী আবু তাহের ও আবু তোরাব উক্ত পীরত্ব সম্পত্তি অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আসছেন। ইতিমধ্যে পীরত্ত্ব সম্পত্তি খন্ড খন্ডভাবে অনেক সম্পত্তি তারা বিক্রয় করে আত্মসাৎ করেছেন। সম্প্রতি আমিসহ গ্রামবাসী উক্ত দরগাহ’র সম্পত্তি দখলমুক্ত করার চেষ্টা করলে উল্লেখিত ভূমিদস্যু কাজী আবু কামাল-গং ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং গত পহেলা আগস্ট ২০২২ তারিখে আমাকে (খাদেম শেখ ফারুক হোসেনকে) খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। এছাড়া শুক্রবারে দরগাহ শরীফে দোয়া অনুষ্ঠান করতে দেবে না, দরগাহের ক্ষতি সাধন করবে ইত্যাদি মর্মে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। এরপর আমার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সাতক্ষীরা ১নং আদালতে চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, বিগত ২০ জুরাই ২০১৬ তারিখে কুতুবুদ্দীন আরব ও শাহাবুদ্দিন আরব মাজার শরিফের খাদেম হিসেবে আমাকে মনোনীত করেন। এরপর ২০১৬ সালে উক্ত সম্পত্তি রক্ষার জন্য আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০৪০০১৬০৫১৮৪০৮৭০০-৮ নং স্মারকে তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)। এরপর সহকারী কমিশনার ভূমি মনিরা পারভীন তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আমাকে রেকর্ড সংশোধনের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, উক্ত পীরত্ত্ব সম্পত্তিতে থাকা ৬ বিঘা আয়তনের দিঘি এবং তিন বিঘা জমিতে থাকা দুটি পুকুর কাজী আবু তাহের ও আবু হায়দার গং জনৈক ব্যক্তির কাছে লীজ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বছরের পর বছর আত্মসাত করে যাচ্ছেন। কাজী আবু তাহের তার জবান বন্দিতে বলেছেন উক্ত দিঘী ও জলাশয় লীজ দিয়েছেন রসুলপুর গ্রামের মৃত শাহাদাত হোসেনের পুত্র মনিরুল ইসলামের কাছে। ওই কাজী আবু তাহের ও আবু হায়দার গংয়ের কবল থেকে পীরত্ত্ব সম্পত্তি উদ্ধার করতে গিয়ে আজ চাঁদাবাজির মামলার কবলে পড়েছি। মিথ্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এছাড়া প্রকাশ্যে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত ভূমিদস্যু কাজী আবু তাহের ও আবু হায়দার গংয়ের কবল থেকে পীরত্ত সম্পত্তি উদ্ধার ও মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে এবং পীরত্ত্ব সম্পত্তি দখলকারী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##