নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট মুন্ডাপাড়া ঘুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন ঢাকার বিশিষ্টজনেরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে তারা এ মতবিনিময় করেন। বিশিষ্টজনেদের মধ্যে ছিলেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. জোবাইদা নাসরিন, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পারিচালক পল্লব চাকমা, এলআরডি সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য কল্যাণ ব্যাণার্জি, মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, দৈক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিদাস রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, আসাদুজ্জামান আসাদ,
মনিরুল ইসলাম মনি, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক এম বেলাল হোসাইন, এসকে কামরুল হাসান, সুশীলনের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান, গণফোরামের জেলা সভাপতি আলীনুর খান বাবুল, মানবাধিকার কর্মী লুইস রানা গাইন, আফজাল হোসেন প্রমুখ।
এসময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রক্সিন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং জানান, তারা ঢাকা থেকে আসার পর সোমবার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট মুন্ডাপাড়য় গিয়ে সেখানে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নরেন্দ্র মুন্ড ও আহত তিন নারীর পরিবাররের খোাঁজ খবর নেন। গত ১৯ আগষ্ট সকালে তাদের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনার বর্ণনা তাদের মুখ থেকে শুনে তারা এ সময় আতকে ওঠেন। হামলাকারিদের রাজনৈতিক পরিচয় দিতে যেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলায় শুনে তারা আরো হতাশ হন। এমনকি এতবড় ঘটনায় শুধুমাত্র পাঁচজন আসামী গ্রেপ্তার হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন। তারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টীর সদস্য হিসেবে তাদেরকে সার্বিক সহায়তা করার জন্য তাদের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন,সমাজ কতটা গণতান্ত্রিক,তা নির্ভর করে সেই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কেমন আছে তার উপর। এ যাবত যারা মুন্ডা সম্প্রদয়ের জমি নানাভাবে জবরদখল করে নিয়েছে ওইসব জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের জমি তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সোমবার ঘটনাস্থল যেয়ে জানতে পেরেছেন, হামলার পর থেকে মুন্ডারা চরমভাবে আতঙ্কিত। ভয় তাদের গ্রাস করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করতে হবে। এরআগে তারা সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাথে মুন্ডা সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে মতবিনিয় করেন করেন। জেলা প্রশাসক তাদের আশ^স্ত করে বলেছেন, তিনি সব ধরণের পদক্ষেপ নেবেন। এ হামলার ঘটনা জেলা প্রশাসক ন্যাক্কারজন ও দু:খজনক বলেও উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. জোবাইদা নাসরিন বলেন, শ্যামনগরের আদিবাসী নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যার ১২দিন অতিবাহিত হলেও প্রধান আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনে সোপর্দ করতে হবে। নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।