নিজস্ব প্রতিনিধি ; সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় পুত্রবধু কর্তৃক শ্বশুর শ্বাশুড়ী ও ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে একটি জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, আলীপুর তালবাড়িয়া গ্রামের মৃত. গ্রীশদাসের পুত্র নগেন দাশ।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আনুমানিক গত ৬ বছর পূর্বে ভবানীপুর গ্রামের শ্রী দেবেন চন্দ্র দাসের কন্যা শীলা দাসের সাথে আমার পুত্র সুমন দাসের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে আমার পুত্রবধু শীলা দাশ শ^শুর শ^াশুড়ির কোন তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত উশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করতে থাকে এবং বিভিন্ন পুরুষ মানুষের সাথে অবাধ ঘোরাফেরা করতে থাকে।
এতে বাধা দেওয়ায় পুত্রবধু আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে পুত্রবধু সব সময় আমাকে এবং আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। গত ২৭ আগস্ট ২০২২ পুত্রবধুর শীলার মাতা ভগমতি, পিতা দেবেন, দাদা শ্যামল, জ্যাঠা গণেশসহ আরো দুই জেঠিমা আমার বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীসহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে।
এর প্রতিবাদ করায় উভয়পক্ষের মধ্যে ঠেলাঠেলি হয়। সেখানে কোন ধরনের মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। এঘটনার পর পূত্রবধু শীলা তার পিতা মাতার সাথে পিতার বাড়িতে চলে যায়। এছাড়া সেখানে আর কোন ঘটনা ঘটেনি।
অথচ পরবর্তীতে মাতা ভগবমতির কু পরামর্শে জঘন্য মিথ্যাচার করে আমার স্ত্রী, আমাকে এবং আমার জামাতা বেনু গোপালকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুত্রবধু শীলা দাশ। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। আমি কখনো যৌতুকের জন্য চাপ দেয়নি। এছাড়া তার পিতার কাছ থেকে একটি টাকাও গ্রহণ করিনি। আমার জামাতা বেনু গোপাল রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সে থাকে ইটাগাছায় তার নিজের বাড়িতে।
তার অত সময় নেই যে আমার বাড়িতে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবে। চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে পুত্রবধু শীলা দাসের এবং তার মায়ের। শীলার বিভিন্ন কর্মকান্ডে বাধা দেওয়ার কারণে আজ আমার জামাতাসহ আমাদের বিরুদ্ধে এই জঘন্য মিথ্যাচার। বিবাহের সময় কোন যৌতুক গ্রহণ তো দূরের কথা পুত্রবধু শীলার পিতা আমার পুত্রকে একটি মটরসাইকেল দিতে চাইলেও আমি নিতে রাজি হয়নি। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নগেন দাশ। তিনি পুত্রবধু শীলা এবং তার মায়ের চক্রান্তের হাত রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।