ভ্যানের চাকায় জীবন চলতো হেদায়েতের। তাতেই নুন-ভাতটা অন্তত জুটতো। গেলো ৫মাস আগে ক্যান্সারে মারা গেছে মেয়েটা। সন্তান হারানো শোক কাটানো কখনও সম্ভব নয়, তাই মাঝে এবার ডাক্তার জানালেন হেদায়েত নিজেই এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত।
আয়ের একমাত্র সম্বল ভ্যানটা বিক্রি করে, পরীক্ষা করে হেদায়েত জেনেছে গলায় ক্যান্সারে হয়েছে তার। এখন তার শরীর ভালো নেই। ঘরে খাবার নেই। গলা দিয়ে খাবার নামছেও না তার। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। শ^াস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন, দ্রুততম সময়ে ঢাকায় নিয়ে ইএনটি ডাক্তার দেখাতে। ঘরে খাবারই জুটছে না, ডাক্তার দেখাতে হেদায়েত ঢাকায় যাবে কিভাবে? দরিদ্র্য মানুষ তাই বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে। খেয়ে, না খেয়ে, অনাহারে, অতিকষ্টে দিন কাটছে তার। কে দাঁড়াবে তার পাশে? হেদায়েতের বাড়ি সাতক্ষীরা রসুলপুরে।
মরহুম সোহরাব আলী ও রাবেয়া বেগমের সন্তান। ঈদ-উল-ফিতরের সময় জেনেছে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে সে। সামর্থ্যের শেষটুকু দিয়ে চেষ্টা করেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। হেদায়েতের খুব শখ আরও কিছুদিন পৃথিবীর আলো দেখবে।
বেঁচে থাকার প্রচ- আকুতি নিয়ে সবার কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতছেন তিনি। তার ধারণা মহান আল্লাহ চাইলে, সকলের সাহায্যে নিশ্চিয়ই তার চিকিৎসা হবে। আবার তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আবার তিনি ভ্যান চালাবেন। আবার তার পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে। এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকায় নেয়া দরকার। সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন হেদায়েত।
তার ধারণা কেউ না কেউ তার ডাকে সাঁড়া দেবে। ০১৭১৫৬০৯৭৭১ নম্বরে হেদায়েতের সাথে যোগাযোগ করা যাবে। ওই নম্বরে বিকাশ ও রকেটও চালু আছে। ভ্যান চালক হেদায়েত কী তবে ক্যান্সারের কাছে হেরে যাবে? নাকি মানুষের সহযোগিতায় আবার প্রাণ ফিরে পাবে হেদায়েত? সমাজের বিত্তবানরে সাহায্যে হেদায়েত আবার স¦াভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। প্রেস বিজ্ঞপ্তি