প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লংঘনকারী মোহাম্মাদ আলী সুজনের জঘন্য মিথ্যাচার আমাকে হতবাক করেছে। কারণ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনে আমি সভাপতি এবং মোহাম্মাদ আলী সুজন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। আমাদের কমিটির মেয়াদ করোনাকালিন রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ৪৫দিন বাড়ানোর পর গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করা হয়। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন ১০০ জনের ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর করে নির্বাচন কমিশনকে ২২ মার্চ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চিঠি দেন তিনিই। শুধু তাই নয়, ওই নির্বাচনে তিনি আবারও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হন। কিন্তু জয় নিশ্চিত করতে তিনি নির্বাহী কমিটির কোন সীদ্ধান্ত ছাড়াই প্রেসক্লাবের স্মারক নম্বর দিতে না পারলেও শুধুমাত্র তারই স্বাক্ষরে ১০ জন সাংবাদিককে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে মর্মে চিঠি দেন তিনি। একই সাথে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে তারই চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে মামলা কারান তিনি। শুধু তাই নয়, তাদের পক্ষে তিনি আদালতে অবস্থানও করেন। আর এঘটনায় স্থানীয় দুটি পত্রিকায় টাকার বিনিময়ে ১০ জনকে সদস্যপদ দিয়েছেন মর্মে সংবাদও প্রকাশিত হয়। যেটা সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা অবগত আছেন। পরে তারই পথ ধরে আরো চার জন প্রেসক্লাবের সদস্য পদ ফিরে পেতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন আদালতে। আদালতে মামলা চলমান থাকায় নির্বাচন দেয়া এখনো সম্ভব হয়নি। এছাড়া তিনি বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় কমিটির বিরুদ্ধে তলবি সভার একটি আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তাহলে তিনি কিভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন। প্রকৃত পক্ষে সাধারণ সম্পাদক সুজন নিজেই পদের লালসায় তার পটেকের ব্যক্তিদের দিয়ে আদালতে মামলা করিয়েছেন। সেটি পরিকল্পিতভাবে আমার উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজায় প্রতিবছর সম্প্রীতির সেতুবন্ধন পালন করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। সে ধারাবাহিকতায় এবছরও সেটির আয়োজন করা হয়েছে। সে কারণে প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবকে অশান্ত করতে এধরনের উস্কানিক মূলক বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, স্থানীয় তিনটি পত্রিকায় তা ছাপিয়ে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন পন্ড করতে চেয়েছিলেন বলে আমি মনে করি। আমি এহেন ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।