দেবহাটা

ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি সদরের লাবণ্যবর্তী খালের ব্রিজটির

By daily satkhira

October 09, 2022

দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার দীর্ঘ সময় পার হলেও ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি কুলিয়ার লাবান্যবর্তী খালের ব্রিজটির। একযুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও উন্নয়ন অভাবে বেহাল দশায় দুই উপজেলার সীমান্তে আবস্থিত লাবণ্যবতী খালের উপর নির্মিত যোগাযোগের একমাত্র সাঁকোর।

দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ও সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়ন সীমানা দিয়ে বয়ে চলেছে এই লাবণ্যবর্তী। সাঁকোটি দুই উপজেলার হাজারো মানুষের যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম হলেও উন্নয়নের মাথাব্যাথা নেই কারোও।

স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ পায় দুই হাজার সালের পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে সাঁকোটি। কালের বিবর্তনে লোহার তৈরী সাঁকোটি বাঁশ ও কাঠের সাঁকোয় পরিণত হয়েছে। দুপাড়ের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কর্মক্ষেত্রে ছুটে চলেছে আপন গতিতে। ইত্যেপুর্বের অযোগ্য অবস্থায় চলাচল করতে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা রয়েছে। তাছাড়া কুলিয়াসহ আশেপাশের এলাকার একমাত্র চলাচলের মাধ্যম হলেও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে আশানুরুপ ফল পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় নির্বচনের পূর্বে সাঁকোর হালচিত্র পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরিবর্তনের দেখামেলেনি। জনবহুল সাঁকোটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে কুলিয়া,শ্রীরামপুর চৌবাড়িয়া, বৈচনা, কুলাটি, হারদ্দা,কোমরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না। এছাড়া সাঁকোটি চলাচলের অযেগ্য হয়ে পড়লে ব্যাবহত হবে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম। তাছাড়া হঠাৎ অসুস্থ ব্যক্তি এবং গর্ভবর্তী মায়েদের ৪-৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত রাস্তা পাড়িদিয়ে আসতে হবে। যা এদের জন্য মারত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া জানা গেছে, সাঁকোর পাশে অবস্থিত ইউনাইটেড মডেল কলেজের অধ্যক্ষ’র তত্বাবধানে ইতোপূর্বে বহু বার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন সময়ে জেলা, দুই উপজেলা প্রশাসন পরিদর্শন করেছেন। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে কোনকিছুতে পরিবর্তন ঘটেনি সাঁকোটির।

ভোমরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নেছারুল্লাহ-আল-মামুন জানান, ১৯৯৫ সালে নির্মিত এই কাঠের সেতুটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে এই কাঠের সেতুটি প্রায় ৩ বছর অতিক্রম করলেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটির অধিকাংশ অংশ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি পুরোটাই নিচের দিকে বাঁকা হয়ে ঝুঁকে পড়েছে।

শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিজুল ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, কয়েক বছর ধরে এই সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, এই সেতুটির ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রীরামপুর বাজারে সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের বাচ্চারা যাতায়াত করে। আমরা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না।

অতি দ্রুত সেতুটি সংস্কার করে পথচলা সুগম করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সেতুটি দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।