নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘তিনি লোকজন নিয়ে দিন দুপুরে আমার বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি আমার বাড়ি ভাংচুরও করেছেন’। পুলিশের কাছে একজন ব্যাংক ম্যানেজার সম্পর্কে এই অভিযোগ দিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াত পরিচালিত এনজিও কর্মকর্তা নিজেই ধরা খেলেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে শহরের কামাননগর মহল্লায়। আটক এনজিও কর্মকর্তার নাম মাহবুবুর রহমান। জামায়াত পরিচালিত এনজিও দিগন্ত ফাউন্ডেশনের পরিচালক তিনি। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান তার কাছে খবর আসে যে, শহরের কামাননগরের মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতি করতে গেছে কয়েকজন লোক। এ খবর পেয়ে সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মোবাশ্বের আলি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছাতেই পুলিশের চোখ ছানাবড়া। এসআই মোবাশ্বের জানান মাহবুবুর রহমান যাকে ডাকাত ডাকাত বলে গ্রাম উজাড় করেছেন তিনি সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার আবদুস সালাম। সঙ্গে আরও চার পাঁচজন লোক রয়েছে তার। মাহবুব পুলিশকে জানান, তিনি তার বাড়িতে ডাকাতি করতে এসেছিলেন। অপরদিকে কথিত ‘ডাকাত’ ব্যাংক ম্যানেজার বলেন ‘মাহবুব ব্যাংকের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ঋণি। আমরা তার কাছে টাকার তাগিদ দিতে এসেছিলাম। রাস্তায় দেখা হওয়ায় তিনি আমাদের সাথে ইফতার করবেন বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান’। এরপর ঘরে বসিয়ে রেখে ‘ডাকাত এসেছে’ এই নাটক করে তিনি তাদের মারধর করেন। ধন্দে পড়া পুলিশ মাহবুব ও ব্যাংক কর্মকর্তাকে থানায় নিয়ে গেছে। ডিউটি অফিসার এএসআই হাসান আলি বলেন ‘মাহবুব পুলিশ কাস্টডিতে রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজার ও তার সহযোগীদের থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাহবুবের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে ’বলে জানান তিনি। জানা গেছে আটক মাহবুবুর রহমান এর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরায় জামায়াতের নৃশংসতায় খুন সিটি কলেজ প্রভাষক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যা মামলা রয়েছে। এই মামলা থেকে রক্ষা পেতে তিনি যোগ দেন আওয়ামী লীগে। দিব্যি বাগিয়ে নেন আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদকের পদটি। আগে থেকেই জামায়াত পরিচালিত এনজিও দিগন্ত ফাউন্ডেশনের পরিচালক এই মাহবুব এখন কোটিপতি।