নির্বাচন চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, উত্তর কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালিত হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। অথচ তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে এই নির্বাচন বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান হিমেলের উপস্থিতিতে স্কুলটিতে যে সভা হয় সে সভায় তিনি নিজে উপস্থিত থেকে নির্বাচন দেওয়ার সুপারিশ করেন। আর নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা থেকে শুরু করে প্রার্থীতা যাচাই-বাচাই, প্রচার-প্রচারণাসহ সকল কাজের বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠার পর এবারই উত্তর কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিলো। স্থানীয় সবাই আগে থেকেই নির্বাচন সম্পর্কে জানতেন। এমনকি নির্বাচনের দিনে প্রায় ৮০শতাংশ অভিভাবক সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আর এই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল গণি। তার সাথে নির্বাচন পরিচালনার কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশও নিয়োজিত ছিলো। অথচ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরোপেক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গণমাধ্যমের কাছে মিথ্যাচর করেছেন সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলামের এমন মিথ্যাচারের কারণ অনুসান্ধানে জানা গেছে, মূলত জমিদাতা সদস্য হিসেবে নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তিনি অন্যদেরকে স্কুলের সরকারি জমিতে অবৈধ্য স্থাপনা গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছেন। নতুন করে নির্বাচিত তার দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন করে দিতে পারেন এই ভয়ে তিনি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লাগাতার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।
এমন মিথ্যাচারের বিষয়ে জানার জন্য উত্তর কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলামের ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উত্তর কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নির্বাচন পরিচলনা কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত সকল বিষয় সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রথম থেকেই অবগত ছিলেন। মূলত তার পরামর্শক্রমেই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাহিদ আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোট গণনা শেষে আমি সকল প্রার্থীদের কাছে নির্বাচন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তারা সকলেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। কেউ নির্বাচন নিয়ে কোন অভিযোগ করেন নি। অথচ নুরল ইসলাম সাহেব একজন মুরুব্বী মানুষ হয়ে কিভাবে এমন অভিযোগ করলেন সেটা আমার বোধগম্য নহে।