নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোররাত থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিরামহীন বৃষ্টি আর ঝড়ের সময় এগিয়ে আসায় উপকূলবাসীর উদ্বেগ বেড়েছে। উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে আছেন উপকূলীয় এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। এ ছাড়াও সাতক্ষীরা উপকূলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩৫টি পয়েন্টের ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে থাকায় ওই এলাকার জনপদগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলার ২৫০টির অধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও ১২শ’ স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগকালীন জরুরী সাড়াদানের জন্য জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়াও ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ঝড়ের পূবেই মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য স্ব স্ব উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া। একই সাথে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।