ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জে গৃহবধু অপহরণ পুলিশের উদ্ধারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্ধী দিেেয়ছে এক ন্তানের জননী অপহৃত গৃহবধু ইরানী বেগম (৩৫)। এঘটনায় গৃহবধুর স্বামী মোস্তফা গাজী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার ও তাকে অপহরণের অভিযোগে আরিফুর রহমান (৪৬) নামে এক পশু চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলা ও গৃহবধূর বক্তব্যের সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটের রামপাল এলাকার ইরানী খাতুনের (৩৫) সাথে প্রায় ১৭ বছর আগে কালিগঞ্জ উপজেলা চাম্পাফুল ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামের ইমান আলী গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজীর (৪৫) বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৪ বছর বয়সের একটি মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি ওই বাসায় যাতায়াতের সূত্র ধরে ইরানী খাতুনের সাথে আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের মোবারক হোসেন গাজীর ছেলে পশু চিকিৎসক আরিফুর রহমানের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া একমাত্র মেয়েকে রেখে প্রায় ২ মাস আগে ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মোস্তফা গাজী বাদী হয়ে আরিফুর রহমানকে আসামি করে গত ১১/০৬/১৭ তারিখে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন সাতক্ষীরার ঘোষপাড়া এলাকা থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী আরিফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার গৃহবধূ ইরানী খাতুন সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। এদিকে কথিত অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আরিফুর রহমান এ পর্যন্ত মোট ৫ বার বিয়ে করেছেন। এখনও তার সংসারে তিনজন স্ত্রী রয়েছেন। এরপরও সে আবারও পরকিয়ার সম্পর্ক করে সুন্দরী গৃহবধূ ইরানী খাতুনকে নিয়ে নতুন সংসার শুরু করেছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। থানায় অবস্থানকালে গৃহবধূ ইরানী খাতুন জানান, তিনি তার স্বামী মোস্তফা গাজীকে এপ্রিল মাসে ডিভোর্স দিয়ে পশু চিকিৎসক আরিফুর রহমানকে বিয়ে করে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছে। তার প্রাক্তন স্বামী মোস্তফা গাজী একজন হাড়কিপ্টে। সে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হলেও ঠিকমতো ভরণপোষণ দিত না। তার এ ধরণের কার্যক্রম ও অবহেলার কারণে বাধ্য হয়ে ডিভোর্স দিয়েছেন। তবে ডিভোর্সের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মঙ্গলবার ওই গৃহবধূকে তার স্বামী মোস্তফা গাজীর হেফাজতে দিয়েছে। পূর্বের ডিভোর্স বাতিল করে আবারও মোস্তফা গাজীর সাথে সংসার করতে রাজি হওয়ায় ইরানী খাতুনকে তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।