আশাশুনি

আশাশুনির কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য নির্বাচনে অনিয়ম

By daily satkhira

November 12, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য নির্বাচনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পারভীন সুলতানা এর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, আত্মীকরণ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কাকবাসিয়া গ্রামের মৃত কোমরউদ্দীন গাজীর ছেলে মোঃ শামছুর রহমান গাজী এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দূর্নীতির মাধ্যমে পারভীন সুলতানা কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট হওয়া শুরু করে।

বর্তমান প্রতিষ্ঠানটি দূনীতি গ্রস্থ প্রতিষ্ঠান হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। আমারা এলাকার ছেলে মেয়েদের অবিভাবক হিসাবে নিরবে তাকিয়ে থাকতে পারছিনা।

কোন অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই পারভীন সুলতানা থার্ড ক্লাস থাকা সত্বেও সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতি করে এই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পেয়েছেন। তার স্বামী শিহাবুদ্দীন এর সহায়াতায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্যকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ বোর্ড গঠন করে তিনি সহকারি প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ পান। মোঃ রেজাউল করিম বাদী হয়ে পারভীন সুলতানার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় দেওয়ানী আদালতে ১৩৫/২০০২ নং মামলা দয়ের করেন। উক্ত মামলায় পারভীন সুলতানাকে অবৈধ এবং অযোগ্য ঘোষনা করা হয়।

শামছুর রহমান গাজী আরো বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পারভীন সুলতানা ১৩৫/২০০২ নং মামলার রায়ের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আপিল ২৬/১১ নং মামলা দায়ের করলে আদালত তার আফিল খারিজ করেন। পরবর্তিতে পারভীন সুলতানা উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা-জজ ২নং আদালতে মিস ০৩/২০১৭ নং মামলা দায়ের করে অদ্যবধি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আমরা অবিভাবক এবং গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করছি অনিয়ম, দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতা ছাড়া স্বাভাবিক ভাবে তিনি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত করছে না। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের কিছু শুন্য পদ আছে। সেখোনে নিয়োগ বানিজ্য করার লক্ষে তিনি নিজের ছেলেকে প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য বানানোর জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি সম্পূর্ন গোপন করে নামে মাত্র পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমস্ত পত্রিকাগুলো একাই ক্রয় করেন। যার কারনে ওইদিন প্রকাশিত পত্রিকাটি বাইরে প্রকাশ করতে না দিয়ে দূনীতির পথ অবলম্বন করে তার ছেলে ইয়ামিনকে দাতা সদস্য তৈরি করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শামছুর রহমান দাতা সদস্য হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে কয়েকবার খোজখবর নেন। কিন্তু তিনি এই দাতা সদস্য হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন গোপন করেন। পরবর্তীতে ৫ নভেম্বর আমরা অবিভাবকরা জানতে পেরেছি যে, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য করা হয়েছে অবৈধভাবে নিয়োগকৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার ছেলে মোঃ ইয়ামিনকে। কোন নোটিশ ও প্রচার প্রচারনা ছাড়াই কি করে তিনি দাতা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি দূনীতি, অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার উর্দ্ধে থেকে বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পরিচালিত হোকা সেই আশা ব্যক্ত করে স্বচ্ছতার সাথে দাতা সদস্য গঠন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান। একই সাথে তিনি কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য পদটি বাতিল করে সকলের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দাতা সদস্য গঠনে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।