প্রেস বিজ্ঞপ্তি : তৃণমূলের মতামত কে উপেক্ষা করে গোপন বৈঠকের নামে জেলা কৃষকলীগের কমিটি ঘোষনার প্রতিবাদে জেলা কৃষকলীগের অধিকাংশ কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ নূর আহম্মাদ আলী লাল্টু ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম রেজাউল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, আমরা নি¤œস্বাক্ষরকারী সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের কাউন্সিলরদ্বয়। বাংলাদেশ কৃষকলীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। কিন্তু এক সময়ে সাতক্ষীরায় কৃষকলীগের রাজনীতিতে কেউ যুক্ত হতে আগ্রহ দেখাতো না। সেই সময় থেকে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু ও সাধারণ সম্পাদক মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের মাধ্যমে তীলে তীলে কৃষকলীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিশ^জিৎ সাধু ও মনজুর হোসেনের দীর্ঘদিনের ত্যাগের ফসল হিসেবে আজকের জেলা কৃষকলীগ একটি বৃহত্তর সংগঠনে রূপ নিয়েছে। কৃষকলীগের এই সফলতা দেখে একদল মানুষ কৌশলে সংগঠনটি নেতৃত্ব অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করেন। গত ০৫/১১/২০২২ তারিখে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু ও সাধারণ সম্পাদক মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশন শেষে বিকাল ৪টায় দ্বিতীয় অধিবেশন শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সভাপতি বাবু সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আরশাফ আলীকে সম্মেলনে দায়িত্ব অর্পন করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি। সে অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাফ আলী ও সদস্য সচিব অধ্যাপক নজমুল ইসলাম পান্নু’র সঞ্চালনায় সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে সাধারণ সম্পাদক উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাফ আলী অপমানিত হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে উপস্থিত কাউন্সিলরদের দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় নিজ আসনে গিয়ে বসেন তিনি। দ্বিতীয় অধিবেশনে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের একটি সুন্দর কমিটি উপহার দেওয়া থাকলেও কমিটি ঘোষণা না দিয়ে ঢাকায় চলে যান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গোপন বৈঠকের নামে এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে একটি ভালো কমিটি উপহার দেওয়া হবে মর্মে ঘোষনা দেন। ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে ১০/০৫/২২ তারিখে ব্যক্তি স্বার্থে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি পকেট কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কমিটি ঘোষণার পর থেকে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যাদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তারা জেলা কৃষকলীগের সদস্যও নন। আমরা মনে করি তৃণমূলের মতামত না নিয়ে ইচ্ছামত পকেট কমিটি দিয়ে জেলা কৃষকলীগ ধ্বংসের পায়তারা চালানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন সেই আদর্শকে উপেক্ষা করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদক। এভাবে পকেট কমিটি দেওয়ার ফলে সংগঠনটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী ও প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা বঞ্চিত হয়েছেন। উক্ত কমিটি বাতিল পূর্বক বাংলাদেশ কৃষকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখাকে কৃষকলীগের ঘাটিতে পরিণত করার জন্য পুনরায় সম্মেলনের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্বদানকারী নেতা নির্বাচন করে দলকে সুসংগঠিত করার দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তারা।