সাতক্ষীরা

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অংশগ্রহণ মূলক বিপদাপন্নতা নির্ণয় এবং করণীয় শীর্ষক এ্যাডভোকেসি

By daily satkhira

November 30, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি : জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অংশগ্রহণ মূলক বিপদাপন্নতা নির্ণয় এবং করণীয় শীর্ষক এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় একশানএইড, বাংলাদেশ সহযোগিতায় ও সিডো সংস্থা’র বাস্তবায়নে একশান ফর ট্রান্সফরমেশন (এফরটি) প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা ক্যাথলিয়াক চার্চে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিডো সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ^াস।

প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল বাছেত।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর অনীমা রানী ম-ল, সাংবাদিক এম. বেলাল হোসাইন, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি সচিব আমিনুর রহমান, ইউপি মেম্বর নুরুল হুদা, গ্রাউস এর অডিট অফিসার শংকর চন্দ্র মন্ডল। সভায় প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের গবেষণা মূলক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন, মৃনাল কুমার সরকার। প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন একশানএইড এর ইন্সপেটরি অফিসার জিসান মাহমুদ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রোজেক্ট কো-অডিনেটর তৌহিদুজ্জামান এবং ইয়ূথ হ্যাভের সদস্য মাসুদ রানা। সভায় বক্তারা বলেন, যুব সমাজকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে দেশে বিভিন্ন সংকট তৈরি হচ্ছে। অনেকে জীবিকা হারাচ্ছে। মাইগ্রেট হয়ে জীবিকার তাগিদে শহরের চলে আসছে। বস্তিসহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে এবং ওই সব পরিবারের যুবরা ভিন্নপথ বেছে নিচ্ছে। এসব যুবদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাজার বিশ্লেষণ, চাহিদা নিরুপণ, বাজার লিংকেজ, উপকরণ সরবরাহকারী, বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ী সমাজের সাথে প্রশিক্ষনার্থীদের সমন্বয় করা একান্ত জরুরী। প্রশিক্ষণ ও ঋণ পরবর্তীসময়ে বেশি বেশি করে সুপারভিশন ও মনিটরিং করা যাতে করে প্রশিক্ষনার্থীরা প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ উপর ভিত্তি করে মূলধন তাদের ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে পারে এবং তাদের কর্মদক্ষতা আরো বেশি বৃদ্ধি করতে পারে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের কাউন্সিলিং বা মেন্টরিং করে উপযুক্ত কমে নিযুক্ত করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কমিটিতে কিছু যুবদের সুযোগ করে দিতে হবে ফলে যুবরা এলাকায় বেশি বেশি করে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচার করতে পারবে। সামাজের পিছিয়ে পড়াদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ্রগহণের সুযোগ করে দিতে হবে। যুবরা চাকুরী চাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে এবং আরো অধিক বেকার মানুষকে চাকুরী প্রদান করতে পারবে বলে বিশ^াস করা যায়।

যুবদের জন্য সরকারি পর্যায়ে অনলাইন প্লাটফরম তৈরি করা যাতে তারা অন লাইনে তাদের পণ্যের বাজার ধরতে পারবে এবং বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানকালীন সময়ে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।