নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুন্দরবনে নদীতে মাছ ধরার পাশ দেওয়ার নামে জেলেদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, দীর্ঘ ৮ মাস যাবত বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল আলম। তিনি যোগদানের পর থেকেই দূর্নীতির চাদরে মুড়িয়ে পড়েছে ওই স্টেশন। সীমাহীন ঘুষ বাণিজ্যের কারনে চরম বিপাকে পড়েছে জেলে ও মৌয়ালরা। সুন্দরবনে মৌয়ালদের মধু আহরণ ও জেলেদের মাছ ধরার পাশ নিতে যেয়ে নুরুল আলমকে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। সরকারি রাজস্ব বাদে ঘুষের অতিরিক্ত টাকা দিয়েও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ জেলে ও মৌয়ালরা।
ছদ্দনাম আশরাফুল, রফিকুল,ও সোহেলসহ অনেক জেলে জানান,বর্তমানে নদীতে মাছ ধরার জন্য অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাঘের ও কুমিরের ভয় উপেক্ষা করে জীবিকা নির্বাহের জন্য জীবন বাজি রেখে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছে তারা। জেলে ও মৌয়ালদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে মধু আহরণ ও মাছ ধরার জন্য সরকার সামান্য টাকা রাজস্ব আদায় করে। তবে মাছ ও মধু আহরণের এক সপ্তাহ পাশের জন্য নৌকা প্রতি ১ থেকে দেড় হাজার অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের। এছাড়া নিষিদ্ধ এলাকা পুষ্পকাঠি,মান্দার বাড়িয়া,হলদে বুনিয়া ও নটাবেঁকিতে মাছ ধরতে গেলে নৌকা প্রতি অতিরিক্ত ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় নুরুল আলমকে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত নভেম্বর মাসে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট অফিস থেকে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের জন্য পাশ নিয়েছে ১১১৩ টি নৌকা । প্রতিটি নৌকা প্রতি স্টেশন কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়েছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা বলে জানিয়েছে জেলেরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জেলেদের কাছ থেকে ৮০০ টাকার বেশি নেওয়া হচ্ছেনা। কোন জেলে মৌয়ালদের কাছ থেকে রাজস্ব ব্যতিত অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।