প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সম্পত্তি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় খুন জখমের হুমকি মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভাড়াশিমলা গ্রামের শেখ আব্দুল কারিমের পুত্রশেখ মুনজুরুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কালিগঞ্জের কামদেবপুর মৌজায় এস এ খতিয়ান ৩৪৫,এসএ দাগ নং ৬৩০, ৬৩১, ৬৩২, ৬৩৩,৬৩৪, ৬৩৫ সহ অন্যান্য দাগে ১৮ বিঘা খরিদা সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্যঘের পরিচালনা করে আসছি। গত ইং ০১/১২/২২ তারিখে সাতক্ষীরা সাবজজ ২য় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার মৎস্যঘের থেকে প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটপাট করে। এঘটনায় আমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করি এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রমজান আলী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হাজির হয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে। আমি কোন জালিয়াতি করিনি বরং রমজান আলী জালিয়াতি করেছেন।
রমজান আলী নিজের স্ত্রীকে সম্পত্তির প্রকৃত মালিক শেখ আ: গফফারের স্ত্রী আছিয়া খাতুন এর নাম ব্যবহারে তার স্ত্রীকে আছিয়া খাতুন সাজিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করিয়াছে।
শেখ রমজান আলী ওয়ারেশ না হয়েও কিভাবে পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। শেখ রমজান আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এস এ ৩৪৫, ৩৪৬, ৩৪৭ নং খতিয়ান হতে রমজান আলী ৯.৭২ একর জমি খরিদ করে নিজ নামে রেকর্ড করিয়েছেন। অথচ হাল জরিপ এ হাতের লেখা মূল বই পরিক্ষা করলে দেখা যাবে ডিপি ৪০৮ নং খতিয়ানে শেখ আ: গফফারের নামে ৯.৭২ একর জমি মাঠ আমিনরা রেকর্ড দিয়েছে। ঐ রেকর্ডের সময় শেখ আ: গফফার জীবিত ছিলেন না। কিভাবে শেখ আ: গফফারের নামে মাঠ রেকর্ড হলো আমরা জানি না।
শেখ রমজান আলী ইং ১৯৯৫ সাল হতে দলিল রেজি: শুরু করলো। এই বিরোধীয় জমি বাংলাদেশ সরকার ওয়াপদা বাঁধ নির্মানের জন্য এস এ ৩৪৫, ৩৪৬, ৩৪৭, উক্ত সমস্ত জমি অধিগ্রহণ করে। ধূত শেখ রমজান আলী এস এ মালিকের বেওয়ারিশদের নিকট হতে পাওয়ার দলিল করে নেয়। অত:পর ১৫০/৬২,৬৩ এল এ কেসের মাধ্যমে সরকার গত ইং ১২/০৪/২০০০ তারিখে জমি এস এ মালিকদের অনুকূলে দেয়। ৬.৬০ একর জমি শেখ রমজান আলী যখন পাওয়ার দলিল করেছে তখন সম্পত্তি মালিক ছিলো বাংলাদেশ সরকার। তখন এস এ মালিকদের অনুকূলে ফিরিয়ে দেয় নাই। ১২/০৪/২০০০ তারিখে পূর্বে সরকারের জমি এস এ মালিকদের ওয়ারেশদের রেজিষ্ট্রি করার কোন অধিকার নেই। কারন এস এ মালিকের ওয়ারেশরা তখন স্বত্বহীন ছিলো। স্বত্ত্ব পাওয়ার পর প্রকৃত ওয়ারেশদের নিকট হতে আমি খরিদ করি। শেখ রমজান আলী উল্লেখ করেছে ০৩/১২/২২ তারিখ রাত ১২টায় আমার মৎস্যঘের প্রবেশ করে ১৫ লক্ষ টাকার মাছ চুরির বিষয় উল্লেখ করেছে। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। কারন আমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছি। গত ০৩/১২/২২ তারিখে আমি এবং আমার পুত্র অসুস্থতার কারনে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
আমার পুত্র ওয়াসিম তার বিরুদ্ধে কোন মামলা করেনি। বিজ্ঞ আদালতে আমার মামলা ৩০/২২ কেসে সাব জজ -২ হতে আমি বিস্তারিত শুনানি অন্তে দখল প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আমাকে ইনজেংশন দিয়েছে এবং রমজানের ভাইপো শেখ জাকির হোসেন সেই সময়ে মামলার জন্য তার দলিলপত্র সরবরাহ করেছিলো। আমার সম্পত্তিতে আমার দাবী আছে। শেখ রমজান সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন তার সকল সম্পত্তি সাবেক এমপি গোলাম রেজার ওয়ারেশদের নিকট হন্তান্তর করেছে। তাহলে সে কতবড় বাটপার সে আমার সম্পত্তি অন্যের নিকট কিভাবে বিক্রি করে। আমি কোন অধিকারনামা দিয়নি। কোন টাকা নেইনি। সে বার বার ই মিথ্যাচার করে চলেছে। এমন বাটপারদের শাস্তি দেওয়া দরকার। রমজান আলী বিজ্ঞ সাব জজ-২য় আদালতের দেং ৩০/২২ নং মামলায় শুনেছেন। উভয় পক্ষের শুনানি অন্তে আদেশ দিয়েছেন। আদেশের বিষয়বস্তু রমজানগংদের বিরুদ্ধে শোকজ এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ দখলের স্বপক্ষে নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। কালিগঞ্জ থানার পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আদেশের বিষয় দেওয়ানী সাবজজ ২ আদালতের ৩০/২০২২ নং মামলার আদেশের বিষয় অবগত হয়ে উক্ত আদেশকে অমান্য করে আমার শান্তিপূর্ণ দখলীয় ঘেরে হামলা চালিয়ে আমার ঘেরের পাহারাদার ও লোজনদের তাড়িয়ে দিয়েছে এবং দখলচ্যুত করার চেষ্টা করছে। রমজান সেই সুযোগে আমার ঘেরের মালামাল লুন্ঠনসহ ১০লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে নিয়েছে।