খেলা

যে ৫ টাইগার নিয়ে আতঙ্কে ভারত!

By Daily Satkhira

June 15, 2017

ভারতীয় মিডিয়ায় উঠে এসেছে ৫ ভয়ঙ্কর টাইগারদের নাম। তাদের কে বিশেষ ভাবে নজরে রাখার কথা বলা হয়েছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয়। ওটার চাপেই শেষে ভারতের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়। কি কেলেঙ্কারি! ভারত মুখ লুকায়। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এক হিসেবে পুরোনো সেই হারের শোধ তুলেছিল ভারত। এবার আরেকটি আইসিসি ওয়ানডে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই এবং তা সেমি-ফাইনালে। এক ধাপ দূরেই ফাইনাল। তারপর শিরোপা। নিঃসন্দেহে ফেভারিট ভারত। কিন্তু শেষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের জয় ভারতকে অতোটা স্বস্তিতে রাখছে না। স্বস্তিতে রাখছে না যখন তখন যে কোনো প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেওয়ার বাংলাদেশের সক্ষমতাও। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে এজবাস্টনের লড়াইয়ের আগে ভারতকে বাংলাদেশের কয়েকজন খেলোয়াড়ের দিকে আলাদা করে চোখ রাখতে হবে।

তামিম ইকবাল এই টুর্নামেন্টে তামিম ইকবাল আছেন আগুন ফর্মে। ২৮ বছরের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলেছিলেন ১৪২ বলে ১২৮ রানের অসাধারণ ইনিংস। যদিও বড় রান করেও দল জেতেনি। পরের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৫ রান। একটুর জন্য টানা সেঞ্চুরি মিস। ওই ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড না হলে বাংলাদেশের সেমিতে খেলা হতো কি না কে জানে! তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় বলেই টিম সাউদির বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়েছিলেন। রান করতে পারেননি। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ২০০৭ বিশ্বকাপসহ পারফর্ম করার ইতিহাস আছে তামিমের। আর তাছাড়া গেলো বিশ্বকাপের পর ক্যারিয়ারের ৯ সেঞ্চুরির ৫টি করেছেন। তার ব্যাটকে তরবারির মতো ভাবে সব প্রতিপক্ষই। ভারত তো তরবারি দেখছেই।

সাকিব আল হাসান ভারতের মাটিতে টানা কয়েক মৌসুম আইপিএল খেলছেন। সেই সূত্রে ভারতের সব খেলোয়াড়ের ব্যাপারে আলাদা জানাশুনা তার। আইসিসির ওয়ানডে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিব আল হাসান তো এক নম্বর অল-রাউন্ডার। এই আসরে বোলিংয়ে অতোটা ক্ষুরধার নন। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় ম্যাচ জেতানো ১১৪ রানের সাথে দারুণ বোলিংয়ে সেরা খেলোয়াড় তিনিই। ৩০ বছরের ব্যাটসম্যান প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সাফল্য পাননি। কিন্তু প্রমাণিত, কাজের সময় তাকে লাগবেই। ২৬৬ রানের রেকর্ড ভাঙা জুটি গড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহর সাথে।

মাহমুদউল্লাহ মাহমুদউল্লাহকে বলতে পারেন সাইলেন্ট কিলার। বলতে পারেন আনসাং হিরো। গেলো বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দেশের ইতিহাসে অমরত্ব পেয়েছেন। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে বলার মতো কিছু নেই। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে সাকিবের পাশে অন্যতম হিরো তিনি। সাকিবের বোলিং পারফরম্যান্স না থাকলে সেদিনের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় কিন্তু ১০২ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহই। ৩১ বছরের ব্যাটসম্যান আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেয়েছেন। ওটাই দরকার ছিল। নিজের দিনে তিনি কতোটা আগ্রাসী ও বিপজ্জনক তা জানে সব প্রতিপক্ষ।

মুস্তাফিজুর রহমান ‘দ্য ফিজ’। কাটার মাস্টার। ভারতের বিপক্ষেই ২০১৫ সালে অভিষেকে হই চই ফেলে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ রহস্যময় পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের। প্রথম দুই ম্যাচেই ৫ উইকেটের রেকর্ড গড়া কীর্তি। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়। ৩ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ১৩ উইকেট। ভারতকে যে সিরিজে ঢাকায় বাংলাদেশ হারিয়েছিল ২-১ এ। আইপিএলে গিয়েও প্রথম মৌসুমে সেরা উদীয়মান ফিজ। এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২১ বছরের বাঁহাতি কাটার মাত্র ১ উইকেট পেয়েছেন এখন পর্যন্ত। কিন্তু বোলিংয়ে দারুণ ছন্দে আছেন। খেলা কঠিন। আর ভারতীয়দের জন্য তো জুজু তিনি। ফিজ কি টাইগারদের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে তার সেই কাটার ম্যাজিক ফিরিয়ে আনতে পারবেন?

মোসাদ্দেক হোসেন ২১ বছরের মোসাদ্দেক হোসেনের সাথে তরুণ তুর্কি কথাটা খুব যায়! নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা সম্ভব হতো না মোসাদ্দেক আগেই বল হাতে অফ স্পিনের ভেল্কি না দেখালে। ব্যাটসম্যান মূলত। কিন্তু বোলিংটাও ভালো জানেন। সেদিন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাকে প্রয়োজনের সময় বোলিংয়ে টেনে এনে দারুণ প্রতিদান পেয়েছেন। ৩ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের প্রচণ্ড ক্ষতি করেছিলেন মোসাদ্দেক। দেশের ফার্স্ট ক্লাস ইতিহাসে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড তার। তবে জাতীয় দলে একটু নিচের দিকে ব্যাট পান। সেখানেও যে দুই ম্যাচ খেলেছেন তাতে অপরাজিত। তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই ভারতীয়দেরও।