দেবহাটা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার দেবহাটায় রপ্তানীযোগ্য বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশকালে উপজেলা প্রশাসন ও র্যাবের যৌথ অভিযানে এক ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ অপর ৮ নারী শ্রমিককে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদ্বন্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় জব্দ করা হয়েছে ৪৩০ কেজি চিংড়ি, ৭০ কেজি জেলি ও ০৭টি সিরিঞ্জ। বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার পারুলিয়ার দুটি রপ্তানীযোগ্য চিংড়ি মাছের ডিপোতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার র্যাবের দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞত্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, উপজেলার পারুলিয়ার নূর আমিন গাজীর মালিকানাধীন আমিন ফিস থেকে অপদ্রব্য পুশকাজে নিয়োজিত ৫জন নারী শ্রমিক ও মাসুদ রানার মালিকানাধীন আলিফ ফিস থেকে ৩জনসহ মোট ৮ জন নারী শ্রমিককে আটক করেন তার নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল। একইসাথে আমিন ফিস থেকে ৩৪০ কেজি এবং আলিফ ফিস থেকে ৯০ কেজিসহ মোট ৪৩০ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের দায়ে আটককৃত ৮ নারী শ্রমিককে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং আমিন ফিসের মালিক নুরআমিন গাজীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় জব্দ করা হয় ৪৩০ কেজি চিংড়িসহ ৭০ কেজি জেলি ও ৭টি সিরিঞ্জ।
তিনি আরো জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারুলিয়ার আমিন ফিসের মালিক নূর আমিন গাজী এবং আলিফ ফিসের মালিক মাসুদ রানাসহ বেশ কয়েকজন ডিপো মালিক অতি মুনাফার লাভের আশায় রপ্তানীযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে জেলি, ফিটকিরি, সাগুদানা, ভাতের মাড়সহ নানা ধরনের অপদ্রব্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে পুশ করে আসছিল। অপদ্রব্য পুশের কাজে তারা স্বল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্থানীয় অসহায়, দুস্থ, বিধবা ও ডিভোর্সী নারী শ্রমিকদের ব্যবহার করতো।
জব্দকৃত ৪৩০ কেজি চিংড়ি মাছ জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অভিযানে এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেনসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের অফিসারগণ।##