দেবহাটা

সাতক্ষীরার দেবহাটায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত

By daily satkhira

January 04, 2023

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা : সাতক্ষীরার দেবহাটায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত। ক্ষেতের পর ক্ষেত হলুদের সমারোহ। সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনে কৃষকের মন আলোড়িত হচ্ছে। মধু আহরনে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে চোখ জুড়ে যায়। আবহাওয়া খারাপ,বৃস্টি ও কুয়াশা থাকায় সরিসার আবাদ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।তারপরও উপকূলীয় উর্বর জমিতে এ বছর আশানারুপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা আশা করছে। প্রতি ক্ষেতে তরতাজা সবুজ সরিষা গাছাগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষককের মুখে হাসি ফুটেছে।

এবছর যা আবাদ হয়েছে তাতে সরিষা চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আংশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সঠিক দাম পাওয়ার আশায় বুক বেধেছে এলকার কৃৃষকরা। শীতের শুরুর আগে কৃষকরা শত ব্যাস্ততার মধ্য দিয়ে চাষের উপযোগী জমি প্রস্তুত করেন। চাষের জমিকে বার বার চাষ দিয়ে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে পরিমিত বীজ বপন করেন কৃষক। কদিন যেতে রোপনকৃত বীজ হতে চারা গজাতে শুরু করে সবুজ গাছ। গজানো চারা দিন যেতে বাড়তে শুরু করে। দেশের তেলের চাহিদা মেটাতে এবং ফসল বিক্রয় করে ভালো দাম পাওয়ায় চাষীরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। ফলে দেবহাটায় প্রতি বছর বাড়ছে সরিষা চাষ।

দেবহাটার সখিপুর মোড় থেকে উপজেলা সড়কের দিকে এগুতে থাকলে মাঠ জুড়ে দেখা মিলবে হলদে ফুলের সমহার। মাঠ জুড়ে শুধু শরিষা ফুলের সম্ররাজ্য। গাছে গাছে হাজারো মৌমাছি গান গেয়ে মধু সংগ্রহ করছে। আর অন্যদিকে কৃষক ফসল পরিচর্চায় সময় পার করছেন। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার হেক্টর, সেখানে আবাদ হয়েছে ১০৭৫ হেক্টর।

এদিকে সরিষা চাষি ফজর আলী জানান, কোঁড়া বিলে ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় ফলন বেশি হওয়ার আশংঙ্কা করছি। সরিষা চাষ শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ক্ষতির সম্ভবনা দেখছি না। বর্তমান বাজারে তেলের দাম বাড়তি হওয়ায় সরিষা চাষ করে লাভের আশা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাঠ এখন সরিষা চাষের দখলে। সরিষার সাথে উৎপাদিত হচ্ছে সরিষা ফুলের মধু। আর তাই কুলিয়া, পারুলিয়া ও সখিপুর ইউনিয়নে ২৩০ টি মৌ বাক্স বসিয়েছেন মৌ খামারীরা। সরিষা খেতে মধু উৎপাদন করলে প্রাকৃতিক পরাগায়ন বেশি হয়, এতে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এবছর প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিঘা প্রতি ১ কেজি বীজ,১০ কেজি DAP,১০ কেজি MOP দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল আছে, আমরা বাম্পার ফলনে আশাবাদী। এবছর ১২০০ টন সরিষা উৎপাদন হবে আশা করছি।