প্রেস বিজ্ঞপ্তি : “বিবাদ নয়, সহায়তা; বিনাশ নয়, পরস্পরের ভাবগ্রহণ; মতবিরোধ নয়, সমন্বয় ও শান্তি” ও “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” এই অমরবাণীকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পালিত হলো যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দ’র ১৬০ তম জন্মবার্ষিকী। এই উৎসবে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন- স্বামী বিবেকানন্দ দর্শন আমাদের মুক্তির পথ। স্বামীজীর আদর্শ আমাদের হৃদয়ে ধারন করতে হবে। তার পথ আলোকিত পথ হিসাবে আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবে। তিনি ধর্মে কোনো বিভেদ দেখেননি। তিনি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দেখেননি। তিনি সেবাধর্মের নতুন ব্যঞ্জনা আমাদের মাঝে দিয়েছেন। বলেছেন, শীব জ্ঞানে জীব সেবার কথা। ১২ জানুয়ারি’২০২৩ বৃহস্পতিবার পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি নাটমন্দির মিলনায়তনে বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এ্যাড: সোমনাথ ব্যানার্জী।
বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি নয়ন চন্দ্র সানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মন্ডল, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরার উপদেষ্টা এ্যাড: অনিত মুখার্জী, শ্রীমতি কল্যাণী রায়, স্নিগ্ধা নাথ, অধ্যক্ষ নির্মল কুমার দাশ, মন্দির সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দাশ, সহ-সভাপতি বিশ্বরূপ চন্দ্র ঘোষ, ডা: সুব্রত ঘোষ, অমিত ঘোষ, সদানন্দ সরকার, প্রভাষক এম সুশান্ত প্রমুখ। এর আগে রামকৃষ্ণ মন্দির ও ধ্যানঘরে বিশেষ প্রার্থনা সভা ও প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন এক সময়ের তেজোদীপ্তাসীম মেধাসম্পন্ন কর্মদক্ষ নরেন্দ্র নাথ দত্ত শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে সন্ন্যাসব্রত লাভ করে স্বামী বিবেকানন্দ নাম ধারণ করেন। এর পর মাত্র ১৬ বছরের জীবদ্দশায় তিনি সনাতন ধর্ম প্রচার করেছেন বিশ্বব্যাপী। অনাহার ও স্বল্পাহারকে নিত্যসঙ্গী করে তিনি সারা ভারতবর্ষ পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করেছেন। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে এই ক্ষণজন্মা মনিষী দেহত্যাগ করে রেখে গেছেন অমর বাণী ও কর্ম। স্বামী বিবেকানন্দ ব্রম্মদৈত্যের সন্ধানে গাছের মগডালে চড়েছেন। তিনি বলেছেন ওঠো জাগো, লক্ষ্যে না পৌছনো পর্যন্ত থেমো না। তিনি ধারন করেছেন ঈশ্বর প্রেম, দেশ প্রেম ও মানবপ্রেম। তিনি তরুণ যুবকদের শরীরচর্চার ওপর সমধিক গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন বি অ্যান্ড মেক। অর্থাৎ নিজেকে গঠন করো, অন্যকে গঠনে সাহায্য করো। নিজেকে যোগ্য করার বাণী দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার শীল।