নিজস্ব প্রতিনিধি : আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আশাশুনির বাঁকড়া আজিজিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার রেকর্ডীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই অবৈধদখলদারদের কবল থেকে সম্পত্তি উদ্ধারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃক এবং জমিদাতার পরিবার।
জমিদাতা পরিবারের সদস্য আব্দুস সবুর জানান, বাঁকড়া মৌজায় ২.৬৫ একর জমি বাঁকড়া আজিজিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালনার জন্য প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হারি নেন নেবারন কিনি(কামালকাটি) গ্রামের মৃত নেকাব উদ্দিন মোড়লের পুত্র নজির আলী মোড়ল গং।
হারী নিয়ে তারা নিয়মিত হারীর টাকা পরিশোধ করতো। কিন্তু ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই তৎকালিন আশাশুনি সহকারী কমিশনার ভূমি উক্ত সম্পত্তি খাস করার আদেশ দেন। এ আদেশের পর থেকে নজির আলী মোড়লসহ একই এলাকার মৃত. সালাম মোড়লের পুত্র বনি আমিন মোড়ল, মৃত রূপচাঁদ গাজীর পুত্র আতি গাজী, মৃত জাফর সরদারের পুত্র আনিস সরদার, মৃত গহর সরদারের পুত্র সুবহান সরদার,মৃত গহর সরদারের পুত্র শহিদ সরদার, মৃত লাল চাঁদগাজীর পুত্র মিজান গাজী, মৃত রশিদ সরদারের পুত্র শাহিনুর সরদার, মৃত আবুল সরদারের পুত্র আব্দুস সাত্তার সরদার, মৃত আক্কাজ সরদারের পুত্র সামাদ গাজী, মৃত হাকিম সরদারের পুত্র মোজাফফর সরদার গং অবৈধভাবে ওই সম্পত্তি ভোগদখল করতে থাকে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানির পর আদালত ২৯ আগস্ট ২০২২ সহকারী কমিশনার ভূমির উক্ত আদেশ বেআইনী বলে রায় প্রদান করে। কিন্তু তারপরও উল্লেখিত ব্যক্তিরা ওই সম্পত্তি দখল না ছেড়ে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। এদিকে উক্ত সম্পত্তির হারির টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের অসহায় ও এতিম ছাত্রদের খরচ বহন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে হারির টাকা না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অত্যান্ত কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে বার বার বসাবসির তারিখ দিলেও রবিউল ইসলামের কু পরামর্শে উল্লেখিত ব্যক্তিরা বসাবসি না করে তালবাহানা করে যাচ্ছেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যার কাছে কাগজপত্র ছিলো তিনি মারা যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে। তবে কাগজপত্র জোগাড় করে ফেলেছি দ্রুত বসাবসি করে এটির সমাধান করা হবে।