নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সিরাজুল ইসলাম নামের এক যুগ্ম জেলা জজ এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ১৪ মার্চ দেবহাটা সহকারী জজ আদালতের বিচারক এলিয়াম হোসেন এ আদেশ জারি করেন।
যুগ্ম জেলা জজ সিরাজুল ইসলাম গাজী সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চ-িপুর গ্রামের আমিন গাজীর পুত্র। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলায় যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগী প্রথম স্ত্রী মারুফা খাতুন জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৩ সালের দিকে সিরাজুল ইসলামের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর সিরাজুল ইসলাম যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার করতে থাকে। উপায়ন্তর হয়ে আমি আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত সিরাজুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে এবং তার আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়া আমাকে তালাক দিয়েছে মর্মে প্রচার দিয়ে আমার সাথে সংসার করবে না মর্মে জানায়। কিন্তু তালাকের কোন কপি না পেয়ে ২০১৪ সালে দেবহাটা সহকারী জজ আদালতে পারিবারিক আইনে একটি মামলা দায়ের করি। আদালতে খোরপোষ দেওয়ার জন্য ডিক্রি জারি করলেও সিরাজুল আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি। আমি পারিবারিক জারি মামলা নং-৪/২২ নং দায়ের করি। উক্ত মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জি বলেন, নি¤œ আদালত বিবাদী সিরাজুল ইসলামকে ২ মাসের মধ্যে ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা দেনমোহর এবং খোরপোষ বাবদ পরিশোধের জন্য ডিক্রি জারি করেন। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম টাকা পরিশোধ করেননি এবং বাদীর সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার আমরা বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দাবি জানালে বিজ্ঞ আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত যুগ্ম জেলা জজ সিরাজুল ইসলাম গাজী এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার ভগ্নিপতি আব্দুল খালেক বলেন মামলা হয়েছিল জানতাম। কিন্তু এধরনের কোন রায়ের বিষয়ে আমাদের জানা নেই। সিরাজুলের কাছ থেকে শুনে আপনার সাথে কথা বলল বলে জানালেও পরবর্তীতে আব্দুল খালেকের সাথেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।