নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিধবা নারীর হারির টাকা না দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিধবা নারী।
ভুক্তভোগী বিধবা নারী সাতক্ষীরা পৌর ৬নং ওয়ার্ডের কুখরালী গ্রামের মৃত জি এম নূরুল আমিনের স্ত্রী নারগিস পারভীন (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নারগিস পারভীনের স্বামী রামদেবপুর মৌজায় এস এ খতিয়ান নং ১৩৫ ও ১০৫১ নং দাগ, ২৮০৫ ও ২৭০২ জমির পরিমান ২.৩৭ একর সম্পত্তি ইজারা গ্রহণ করে ভোগদখল করতেন। কিন্তু পূর্বের মালিক খাজনা পরিশোধ না করে ১৯৬৪ সালে ভারতে চলে যান। খাজনা পরিশোধ না থাকায় বাংলাদেশ সরকার উক্ত সম্পত্তি নিলাম ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে জমি খাসে নিয়ে নারগিস পারভীনের স্বামীর অনুকূলে পুনরায় ইজারা প্রদান করেন। তার স্বামী নূরুল আমিন জীবিত থাকতে কুখরালী গ্রামের মৃত শুকুর আলীর পুত্র হাফিজুল ইসলাম ও সাবেক কাউন্সিল শহিদুল ইসলাম হারী নিয়ে নিয়মিত হারির টাকা পরিশোধ করলেও তার স্বামী মারা যাওয়ার পর হারির টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। বার বার তাদের কাছে হারির টাকা চাইতে গেলেও ১০ বছর ধরে কোন হারির টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। ১০ বছরে ৭লক্ষ ২০ হাজার টাকা না দিয়ে গোপনে ভূমি অফিস থেকে নিজেদের নামে ডিসিআর গ্রহন করে। তখন উপায়ন্তর হয়ে বিধবা নারগিস পারভীন খুলনা বিভাগীয় ভূমি রাজস্ব অফিসসহ ঢাকা হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে। পিটিশনে রায়ে নারগিস পারভীনের পক্ষে আসে। তারপরও উল্লেখিত শহীদুল ইসলাম এবং তার ভাই হাফিজুল ইসলাম হারির টাকাও দিচ্ছে না আবার জমিও ফেরত না দিয়ে অবৈধ ভোগদখল করে যাচ্ছেন। টাকা বা জমি ফেরত চাইতে গেলে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি কারো কোন জমি নেইনি। তাহলে হারির টাকা দেবো কেন। কার ঘেরের মধ্যে কতটুকু পড়েছে সেটি আমি জানি না।