নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের জমিতে থাকা বধ্যভূমিসহ জেলার সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ’৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী,’৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির সদস্য সচীব অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. ওসমান গণি, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমঃ মহিবুল্লাহ মোড়ল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ভারতে শরনার্থী হিসেবে যেতে যাওয়া সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ৩৩৫ জন মতান্তরে ৭০০ নারী পুরুষ ও শিশুকে দীূনেশ কর্মকারের বাড়ি সংলগ্ন ডোবাতে পাকসেনারা নৃশংসভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। দীর্ঘদিনে আন্দোলন করেও ওই বধ্যভূমি সংরক্ষিত হয়নি। এমনকি সেখানে তৈরি করা হয়নি কোন স্মৃতিসৌধ। সাতক্ষীরা সদর ব্যতীত জেলার প্রায় সকল বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে বা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সরকার এর জন্য অনেক টাকা বরাদ্দ করেছে। ১৪ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় থাকা ও সাতক্ষীরা সদরে একজন মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন সাংসদ থাকার পরও দীনেশ কর্মকারের জমিতে থাকা বধ্যভূমি, ঝাউডাঙা বাজার, বাকাল ব্রীজসহ বিভিন্ন বধ্যভূমি আজো সংরক্ষণ করা হয়নি। জেলা প্রশাসক মো” হুমায়ুন কবীর বধ্যভূমি সংরক্ষণে যেভাবে সাতক্ষীরাবাসিকে আশ্বস্ত করিয়েছিলেন সে ব্যাপারে নতুন কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এজন্য সাতক্ষীরা বাসীকে এ আন্দোলন সংগ্রামে বৃহত্তর কর্মসুচি গ্রহণ করে অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামি ১৫ এপ্রিল সকাল ১০ টায় শহরের ম্যানগ্রোভ সেন্টারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পরে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।#