নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আলীপুরে বড়ভাইকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। রোববার বিকালে সরেজমিনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ঢালীপাড়ায় গিয়ে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনার জেরে আলীপুর ঢালীপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক নিজের আপন বড় ভাই ভ্যানচালক আব্দুল্লাহ সরদারকে ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মারপিট করে। এতে আব্দুল্লাহ সরদার, পুত্র আমীর হামজা এবং তার স্ত্রী হামিদা খাতুন মারাত্মক জখম হয়। অথচ এঘটনায় উল্টো আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র ইয়াছিন আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পুলিশ আব্দুল্লাহ সরদারকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। মামলার কারনে আব্দুল্লাহ সরদারের পুত্র আমির হামজা এবং তার স্ত্রী ভিটেছাড়া হয়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন। আলীপুর ঢালীপাড়া গ্রামের রকিবুল ইসলাম ও রাবেয়া খাতুনসহ অনেকেই জানান, আব্দুল্লাহ সরদার অত্র এলাকায় একজন ন¤্র ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি অত্যান্ত অসহায় প্রকৃতির। কিন্তু তার নিজের ভাই আব্দুর রাজ্জাক হিং¯্র প্রকৃতির হওয়ায় সম্পূর্ণ গায়ের জোরে তাদের মারপিট করে উল্টো আব্দুল্লাহ সরদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলায় আব্দুল্লাহ সরদার কারাগারে আছেন। একমাত্রপুত্র এবং স্ত্রী পলাতক থাকার সুযোগে সুচতুর আব্দুর রাজ্জাক নিজের বড় ভাইয়ের বাড়ীঘর ভাংচুর এবং লুটপাট চালাচ্ছেন। ১৫ এপ্রিল রাতে আব্দুল্লাহ সরদারের কর্মসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম ভ্যানটি রাতে আধারে পুকুরে ফেলে দেন। যদিও স্থানীয়দের চাপাচাপিতে ১৬ এপ্রিল দুপুরে ভ্যানটি তুলে। এছাড়া ঘরের মধ্যে থাকা চাউল লুট করে নেয় রাজ্জাক এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ভুক্তভোগীর কন্যা খাদিজা খাতুন জানান, আমার পিতা অসহায় হওয়ার সুযোগে তারা পিতাকে ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে চাচা আব্দুর রাজ্জাক মারপিট করে উল্টো মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। এ সুযোগে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালাচ্ছেন। তিনি এবিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা ভাবী এবং ভাইপো। তাই বলে ভাইকে মারপিট করে আবার কারাগারে পাঠাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে আমি যা পারি করবো। আপনাদের কি। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, এই দুর্বলতার সুযোগ কেউ নিতে পারবে না। যদি এমন হয়ে থাকে অভিযোগ দিলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো।