নিজস্ব প্রতিনিধি : কৃষ্ণনগর ইউপির চেয়ারম্যান সাফিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নানান অপ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের শওকত ঢালীর ছেলে ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ’র প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। এসময় মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সদস্য ও কৃষ্ণনগর ইউপি’র জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন। তার পিতা শহীদ কে.এম মোশাররফ হোসেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে তার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করলে পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন কে এম মোশারফ হোসেনের স্ত্রী আকলিমা খাতুন। গত ইউপি নির্বাচনে তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী জ্যেষ্ট কন্যা সাফিয়া পারভীন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে অতি সুনামের সাথে জনকল্যাণে কাজ করে চলেছেন। তার উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কতিপয় দুষ্কৃতকারী প্রতিপক্ষ ব্যক্তি নিজ স্বার্থ হাসিলের লক্ষে নানামুখী যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাকে সমাজে হেয় করতে তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে আপত্তিকর ছবি ও স্ট্যাটাস দিয়ে জনগনের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। তিনি অসহায় পিতৃহীন মহিলা মানুষ বলে তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ও পিতার হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে বিভিন্নভাবে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে হেও প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য ও ভিত্তিহীন মুখরোচক গল্প বানিয়ে মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এসবের নেপথ্যে বহু অপকর্মের হোতা সাজুসহ তার সহচরকে সন্দেহ করে। সরলমনা ও অপপ্রচার বন্ধে একপর্যায়ে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সাফিয়া কালিগঞ্জের কূলিয়া দূর্গাপুর গ্রামের সিরাজুল হকের ধুরন্ধর পুত্র বহুরুপী ও নারীলোভী সাজেদুল হক সাজু বাধ্য করে ৯/১১/২২ তারিখে অপরিচিত ব্যাক্তিকে ম্যারেজ রেজিস্ট্রার সাজিয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে স্বামী পরিচয় দিতে থাকে। এরপর থেকে সাজু ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিতভাবে যাতায়াত করতে থাকে এবং চেয়ারম্যানের আপন হওয়ার চেষ্টা করে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করার কথা বলে ইউপির সাদা প্যাডে সীল ও স্বাক্ষরীত ৮/১০ টি প্যাডের পৃষ্টা নেয়। এরপর থেকে নানান ছলে নগদ টাকা দাবী করতে থাকে। সাজু সহ তার একান্ত সহযোগি বানিয়াপাড়া গ্রামের জামাত আলীর পুত্র কেরামত আলীর আচারণ সন্দেহ হলে তিনি ঐ কাবিনের অস্তিত্ব খুঁজতে গেলে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং নানামুখী হুমকী দিতে থাকে। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় ২৫/০৩/২৩ তারিখে মামলা রুজু হয়, যার নং ২৮। এরপর থেকে সাজু আরও বেপরোয়া হয়ে নানান অপ প্রচার ও হুমকী ধমকী দিতে থাকে। সম্মান রক্ষায় নিরুপায় হয়ে চেয়ারম্যান সাফিয়া সাজুর অঙ্গিকার মতে ৯/১১/২২ তারিখে ১ কোটি টাকা দেনমোহরে আবারও একটি কাবিনে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে নতুনভাবে প্রতারণা শুরু করলে রেজিস্ট্রারের নিকট কাবিনের নকল নিতে গেলে তিনি এ বিবাহ জাল এবং জালিয়াতি বলে জানান। মুল ভলিয়মে এ ঠিকানায় কোনো কাবিন নেই। সাংবাদিক ভাইদের ভুল বুঝিয়ে নানান মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়ে অপদস্ত ও সামাজিকভাবে হেয় করে সাফিয়ার দীর্ঘদিনের অর্জিত সম্মান ক্ষুন্ন করছে।
আমি কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে পরিষদবর্গের পক্ষ হতে চেয়ারম্যানকে নিয়ে যে সকল মিথ্যাচার করা হয় তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং সাজুসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, আইজি, ডিআইজি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।