প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আদালতের নির্দেশনা অমান্য কতিপয় স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবকে বিতর্কিত করার পায়তারা চালাচ্ছে। সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিকভাবে ইচ্ছামত কমিটি থেকে সদস্যদের বাদ দেওয়া, সদস্য নেওয়াসহ প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দের অধিকাংশই বর্তমান অবৈধ কমিটির কার্যক্রমের বিরোধীতা করছেন। সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী সহ কমিটিতে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত সদস্য মকছুমুল হাকিম বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল,অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সদস্য শাহীন গোলদার সহ সভাপতি হাবিবের এহেন কর্মকান্ডের বিরোধীতা করছেন। ১৩ সদস্যের কমিটির সভাপতি সহ ৭ জনের অনুমোদন ব্যতিত কিভাবে ঢালাওভাবে অসাংবাদিকদের সদস্য পদ দেয়া হচ্ছে। হাবিবুর রহমান হাবীব অসাংবাদিকদের সদস্য পদ নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছেন। কলুষিত করছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবকে। এবিষয়ে দ্রুত প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাতক্ষীরার পেশাদার সাংবাদিকরা।
বিশেষ করে ৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সুজন ও সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কতিপয় সদস্য একটি সভা দেখিয়ে নির্বাচিত সদস্যদের বাদ নিয়ে কো-অপ্ট নাটক সাজিয়ে ইসি কমিটিতে সদস্যভুক্তি করেছে। এমনকি নির্বাচিত সভাপতির উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান নিজে সভাপতি হিসেবে প্রচার দিচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আদালত অবমাননার শামিল। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা শহরের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, পল্লী চিকিৎসক, চাউল ব্যবসায়ী, ড্রাইভার, অসাংবাদিক ও নাশকতা মামলার আসামীদের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ওই স্বার্থন্বেষী মহলটি।
হাবিবুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে মোজাফফার রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করেন। মোজাফফর রহমান নিজেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিলেও ৫মার্চ মোজাফফর রহমান কে সদস্য দেখানো হয়েছে। যা হাস্যকর। এদিকে, প্রেসক্লাবের চলমান সংকট নিরসনে গত ৬ মার্চ ২০২০ আদালতের নির্দেশে একটি কমিটি গঠিত হয়। যার সদস্য ছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, ডিজিএফআই, এনএসআই, নির্বাচন কমিশন ও তৎকালীন প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ৬ মার্চ ২০২১ তারিখে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী কমিটি ৮ মার্চ ২০২১ তারিখে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সে মোতাবেক প্রেসক্লাব সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু গত ২০২২ সালের ৮ মার্চ কমিটি মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন সভাপতির অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছামত ১০ জন সদস্যকে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে মর্মে একটি করে চিঠি প্রেরণ করেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নুর ইসলাম-সুজন প্যানেলের নিশ্চিত পরাজয়ের আশংকা থাকায় সুচতুর মোহাম্মাদ আলী সুজন ওই ১০ জন সদস্যের মধ্য থেকে ৩ জনকে বাদী করিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিজ্ঞ আদালত মমতাজ আহমেদ-বাপী নেতৃত্বাধীন কমিটি বহাল রেখেই মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। এছাড়া উক্ত কমিটি কোনভাবেই কাটা ছেড়া করা যাবে না মর্মেও নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী অসুস্থ্যতা জনিত কারনে ০৮/০২/২০২৩ তারিখ থেকে ২৩/০৩/২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। সে সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব গঠনতান্ত্রিক বিধানমতে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম চালিয়েছেন। বর্তমান ২৪/০৩/২০২৩ তারিখ থেকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীর নেতৃত্বাধিন কমিটি প্রেসক্লাবের সার্বিক কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিব ওই পদ না ছেড়ে অবৈধভাবে দখল করে রাখার চক্রান্ত শুরু করে এবং ১৭.০৩.২০২৩ তারিখ রাতে বহিরাগত সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির নেতা, ছাত্রদল নেতা, বিএনপি নেতাসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রেসক্লাবে মহড়া দেয়। যার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির যে কোন সদস্যের উপর অনাস্থা আনতে হলে সকল সদস্যের ৫১ ভাগের লিখিত আবেদন থাকতে হবে। যা এককভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপির প্রতি অনাস্থা আনা হয়েছে মর্মে প্রচার করা হচ্ছে। যার সম্পূর্ণ অবৈধ। সুতরাং এই অবৈধ কমিটির কার্যক্রমে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি।