সাতক্ষীরা

শ্যামনগরে যুধিষ্ঠি মন্ডলের উপর নির্যাতন ও বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

By daily satkhira

April 27, 2023

নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের গোনা গ্রামের যুধিষ্ঠি মন্ডলের উপর নির্যাতন ও বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃস্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি দিলিপ দাস।

বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) সাতক্ষীরার আয়োজনে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভূতোষ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জয়ন্তী রাণী দাস। বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা এডভোকেসি কমিটির সভাপতি পবিত্র মোহন দাস, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী রঘুনাথ খাঁ, আশ্রয় এর নির্বাহী পরিচালক সরদার গিয়াস উদ্দীন, নাগরিক উদ্যোগের বিভাগীয় সমন্বয়কারী রহিদুল ইসলাম, ভুক্তভোগীর পুত্রবধু স্মৃতি রাণী মন্ডল, স্বদেশের আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস।

কৈখালি ইউনিয়নের গোনা গ্রামে শুধু তারাই হিন্দু পরিবার বসবাস করেন। গত ১৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে তার ছেলে অনিমেষ ম-ল (০৯) পার্শ্ববর্তী পুকুরে ¯œান করতে যায়। একই সময়ে প্রতিবেশি জাহের চৌকিদারের আট বছরের ছেলে হারুনের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে জাহের চৌকিদারের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, মেহেন্দীনগর গ্রামের দ্বীন আলী চৌকিদার, শহীদুল ইসলাম চৌকিদার, গোনা গ্রামের নূর ইসলাম চৌকিদার, রবিউল চৌকিদার, হারেজ গাজী ও মনিরুল ইসলাম চৌকিদারসহ চার/পাঁচজন পুকুর পাড়ে এসে অনিমেষকে গালিগালজ করতে থাকে।

তাকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে তিনি যেয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। কান ছিঁড়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সোনার দুল। ছিঁড়ে নেওয়া হয় গলা থেকে সোনার হার। লোহার রড দিয়ে বাম পা গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী শ্রীপদ ম-ল বাদি হয়ে উপরোক্ত সাতজনের নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি মামলা(২২ নং) দায়ের করেন। পুলিশ নুর ইসলাম চৌকিদার ও মনিরুল চৌকিদারকে মামলার পরপরই গ্রেপ্তার করে।

মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদি ও তার পরিবারের সাত সদস্যকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। প্রেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের গোয়ালঘরসহ বসতঘরের একাংশ পুড়ে যায়। বক্তারা এই ন্যাক্কার জনক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।

২৭.০৪.২৩