নিজস্ব প্রতিনিধি : দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর নিমতলার চোরাঘাটটি জেলার শীর্ষ চোরাকারবারিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কোমরপুর বিজিবি ক্যাম্প থেকে ৪০০গজ দক্ষিণের এই চোরা ঘাট দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য নির্বিঘেœ পারাপার করছে চোরাকারবারিরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় বা জেলা পর্যায়ের প্রশাসন নীরব থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাচালানীরা। দেবহাটার কোমরপুর নিমতলা চোরাঘাট দিয়ে প্রতিরাতে হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল, ভারতীয় মদ, গার্মেন্টস সামগ্রী, থ্রি-পিচ, শাড়ি, প্যান্ট শার্টের পিচ ও নিম্মমানের গলদার রেনু ভারত থেকে পাচার হয়ে আসছে। বাংলাদেশ থেকে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, গার্মেন্টস সামগ্রী, পিতল কাসা, পাবদা, কৈ, জেল মাছের পোনা ভারতে পাচার হচ্ছে। প্রতি রাতে ট্রাক, পিকআপে করে এইসব পণ্য নিমতলা ঘাট দিয়ে সতের থেকে বিশটি নৌকায় করে পারাপার করছে সত্তর জনের একটি চোরাচালান সিন্ডিকেট। এলাকাবাসী বলছে, প্রশাসনের সহযোগিতায় এই বৃহৎ চোরাচালানী হচ্ছে। আলিপুর নাথপাড়া এলাকায় বিজিবি হত্যার অন্যতম চার্জশিটভুক্ত আসামি এক ইউপি মেম্বর ও তার ভাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত শীর্ষ অস্ত্র চোরাকারবারী, এদের নেতৃত্বে সত্তর জনের এই সিন্ডিকেট নির্বিঘেœ চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট এর অন্যতম সদস্য ইউপি মেম্বরের মামাত ভাই গয়েষপুর গ্রামের আনারুলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিজিবিকে ম্যানেজ করার এবং ভারত থেকে যে নিম্মমানের চিংড়ি পোনা (ছাটি) পাচার হয়ে আসছে সেগুলো কুলিয়া ও পারুলিয়ার মৎস্যশেডে নির্বিঘেœ পৌছে দেয়া। বাংলাদেশ থেকে যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও গার্মেন্টস সামগ্রী ভারতে পাচার হয় এবং ভারত থেকে যে থ্রিপিচ, শাড়ি, প্যান্ট ও শার্টের পিচ, মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে আসে এর দায়িত্বে আছে ঐ ইউপি মেম্বরের ভাই শীর্ষ অস্ত্র চোরাকারবারি। শহরের আলিশান বাড়িতে বসবাস করে জেলার রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সবার মাথার উপর ছড়ি ঘুরিয়ে নির্বিঘেœ প্রতিরাতে লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য পারাপার করছে। গয়েষপুর গ্রমের আনারুলের সাথে মোবাইলে কথা বললে সে জানায়, আমি অন্য কোন পণ্য পারাপারের সাথে জড়িত নয় শুধু চিংড়ি পোনা পারাপারের সাখে জড়িত। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই পোনা পাচারের ব্যবসা করে আসছি। সিন্ডিকেট প্রধান বিজিবি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ঐ ইউপি মেম্বর আমার ফুফাত ভাই।