নিজস্ব প্রতিনিধি : আদালতের বারান্দায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষকে জখম করেছে মামলার বাদি। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্্েরট আদালতের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল হামলাকারির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। জখমীর নাম শুকুর আলী সরদার (৪২)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খানপুর ইছ্পাুর গ্রামের হোসেন আলী সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরা আদালত চত্বরে শুকুর আলী জানান, গত ৫ মার্চ কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের আখেরুল ইসলাম ওরফে আজাহারুল ইসলামের কাছ থেকে খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে ৬৭ শতক জমি কেনেন তিনি। বর্তমানে ওই জমিতে তার ঘরবাড়ি রয়েছে। ওই জমির অর্ধেক নিজের দাবি করে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের আসাদুল গাজীর ছেলে আবু সাঈদ সোহেল জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতকায় গত ১৫ মে আবু সাঈদ সোহেল তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন ১০৩৯/২৩ নং মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরদিন উভয়পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারি করে। একইভাবে আবু সাঈদ সোহেল গত ২১ মে ওই জমি থেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া ও জমিতে বিবাদীপক্ষের না যাওয়া সংক্রান্ত একটি আদেশ একই আদালত থেকে অনুমোদন করান। নিরুপায় হয়ে তিনি ও তার আইনজীবী সহকারি বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মূল ফটকে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ আবু সাঈদ পিছন দিক থেকে এলোপাতাড়ি তার পিঠে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত জখম করে পালিয়ে যান। বিচারপ্রার্থীরা বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে পুলিশের সহায়তায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল ২১ মে শুকুর আলীর ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া ও জমিতে ঢুকতে না দেওয়া সংক্রান্ত আদেশ প্রত্যাহার করে আবু সাঈদ সোহেলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, হামলাকারি আবু সাঈদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। চলছে মামলার প্রস্তুতি।#