আসাদুজ্জামান ঃ “দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এই সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ায়ম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, সর্বসম্মতভাবে নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে অবাধ সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবো তত তাড়াতাড়ি দেশের এই ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো। শক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের আমতলা মোড়ের নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দশ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে” অনুষ্ঠত বিএনপি’র জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এই সংকট নিরসনে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী এবং সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোন বিকল্প নাই। কেউ যদি মনে করে প্রধান মন্ত্রী ক্ষতায় থেকেও বিকল্প উপায়ে এই সংকট নিরসন করা যাবে, তা ভাবার কোন সুযোগ নাই। কারণ, এক সময় বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই কেয়ারটেকার সরকারের জন্য লড়াই করেছেন। এমন কোন কান্ড নাই এমন কোন ঘটনা নাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ করে নাই। তখন তো আমরা বিরোধীতা করি নাই। তাহলে আপনারা কেন বিরোধীতা করছেন। বেগম জিয়া আপনাদের কথা শুনেই কেয়ারটেকার সরকার আইন পাশ করেছেন। তিনি এসময় আরও বলেন, আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা আর গ্রেফতারের ভয় পায় না। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার করে জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। শামসুজ্জামান দুদু এ সময় সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে মিথ্যা মামলায় জেলে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির জোর দাবী জানান। জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ও ডা. শহীদুল আলম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ তারিকুল হাসান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মৃনাল কান্তি রায় প্রমুখ। সমাবেশে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৫’শ নেতাকর্মী অংশ নেন।##