প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় মিথ্যা প্রলোভনে মামার নামীয় সম্পত্তি এবং বাড়ি ব্যাংকের কাছে বন্দক রেখে নিজের আখের গুছিয়ে মামাকে পথে বসানোর চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভোমরা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর গ্রামে মৃত শেখ আ: রশিদের পুত্র শেখ মামুন উর রশীদ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, স্বত্বাধিকারী মুন ইন্টারন্যাশনাল ইনপোর্ট এন্ড এক্সপোর্টার।
আমার ভাগ্নে (সৎ বোনের ছেলে) কালিগঞ্জ উপজেলার মৃত শেখ আজিজুর রহমানের পুত্র শেখ শহিদ উর রহমান আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল থাকায় ২০১৫ সালের দিকে আমার কাছে এসে বলে মামা ভোমরায় ব্যবসা করতে পারলে লাভবান হতে পারবো। আমি সরল বিশ^াসে কাটিয়া মৌজায় ৮৪ শতক সম্পত্তি কালিগঞ্জ ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা মেসার্স এস এস ট্রেড ইন্টারশ্যানাল নামে ৭৫ লক্ষ টাকা বিদেশ থেকে মালামাল ইনপোর্ট করার জন্য লিমিট পাশ করে। সেই সাথে ভাগ্নে নামের প্রতারক শহিদ তার চাচাতো ভাই শেখ আব্দুর রহমানের পুত্র আশাফুদ্দৌলা শাওনকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য যুক্ত করে। ব্যবসায়ে যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসায়ের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শহিদ উর রহমান ও শাওন সম্পাদন করত। এল সি সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় ওরা দুইজন পরিচালনা করত। শহিদ আমার ভাগ্নে হওয়ায় আমি ফিরেও দেখিনি। পরবর্তীতে কালিগঞ্জের ব্যাংকে লিমিট পর্যাপ্ত না থাকায় শাওনের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সাতক্ষীরার বসতবাড়ী ১৫ শতক জমির উপরে ৪ তলা বাড়ী সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক শাখায় মটগেজ দিয়ে আমার নামে দেড় কোটি টাকার লিমিট পাশ করায়।
পরবর্তীতে সাতক্ষীরার আমার এক বন্ধু রিফাত হাসান রাসেল এইচ আর ট্রেডার্স নামীয় তার জমি ও বাড়ী দিয়ে সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক শাখায় দেড় কোটি টাকার লিমিট পাশ করায়। শহিদ ও শাওন তাকে ব্যবসায় সম্পৃক্ত করে। আমাদের ব্যবসায়ের মূলধন দাড়ায় ৩ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। মাঝে মাঝে ব্যবসায়ের লাভের কিছু অংশ আমাকে দিত। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদ ও শাওন বলতো অসুবিধা নাই, সবই ঠিক আছে।
ব্যবসা চলাকালিন সময়ে আমি তাদের বাড়ি গিয়ে দেখি শাওন ও শহিদের গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে দেখি ২জন বিশাল বিশাল বাড়ী তৈরি করছে, বাড়ি তৈরি টাকার উৎস জানতে চাইলে তারা বলে ব্যবসায়ের লাভের টাকা দিয়ে করছি।
২০১৮ সালের শেষের দিকে কালিগঞ্জ ও সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক থেকে ব্যাংকে লিমিট নেই টাকা পরিশোধ করার জন্য আমাকে উকিল নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাওয়ার পর ১৬/১০/২০১৮ তারিখে যাবতীয় লাভ ক্ষতির হিসাব বিবরণী প্রদান করে তাতে ব্যবসায়ের কোন লাভ হয়নি। আমার নিজের নামীয় সম্পত্তি ও বাড়ি বন্ধক রেখে তাদের দিয়েছি ব্যবসা করার জন্য তারা কোটিপতি হয়েছে। এরপরও শাওন বলে মামা আপনার ৮৪ শতক জমিটা বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ ক্লোজ করি। আমার নওয়ের এক দুলা ভাই এর মাধ্যমে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জে স্যালমুন ফিস এর প্রজেক্ট ও ঢাকায় তার দশতলা বাড়ি ব্যাংকের লিমিট করে আমরা ব্যবসা বড় করবো। আমি আবারো সরল বিশ^াসে ওই জমি বিক্রয় করে ব্যাংকের ঋণ শোধ করি।
এরপর থেকে জমি কিনে দেওয়া তো দূরের কথা ব্যাংক ইতোমধ্যে আমার বাড়ি নিলাম করার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। ১৬/১০/১৮ তারিখে হিসাবে স্টক মালামাল ও ১৬/১০/১৮ তারিখের পর ৫টা এলসি’র মালামালে হিসাব আমাকে দেখাতে পারে নাই। প্রায় ৭ কোটি টাকার হিসাব দেখাতে পারে নাই। হিসাবে গড়মিল। এদিকে শাওন ও শহিদ অন্যনামে ভোমরা বন্দরে ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। পরিকল্পিতভাবেই আমাকে পথে বসানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শাওনই চিটার। শাওন এর পরিকল্পনায় শহিদ ও শাওন মিলে আমকে পথে বসিয়েছে। আর ভাগ্নে নামের প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে জমি হারিয়েছি, বাড়িটিও হারানোর পথে। বাড়িটি ছাড়াতে না পারলে পরিবার নিয়ে রাস্তায় বসতে হবে। জীবনের সর্বশ^ হারিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ওই দুই প্রতারকের খপ্পর থেকে আমার পাওনা টাকা উদ্ধার পূর্বক আমার বাড়িটি রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।