সাতক্ষীরা

মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ফাঁসাতে থানায় জিডি

By daily satkhira

June 22, 2023

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় তালায় পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও তার পরিবারকে ফাঁসাতে ভূয়া জিডি করে এবং মিথ্যা প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে হয়রানির প্রতিবাদে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তালা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: তবিবুর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ মোহম্মদ ইদ্রিস।

লিখিত বক্তব্যে, আবু সাঈদ মোহম্মদ ইদ্রিস বলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রয়াত লোলিত মোহন সাহা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। অমুক্তিযোদ্ধা হয়েও লোলিত মোহন সাহার সন্তানরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসছে। আমরা এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে সহ আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নানানভাবে হয়রানি করার চক্রান্ত শুরু করে। এর জের ধরেই গত ২০ আগস্ট ২০২২ তারিখে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে অমুক্তিযোদ্ধা লোলিত মোহন সাহার সন্তান প্রতাপ কুমার সাহা পাটকেলঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। সেখানে আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুর রহমান, আমার চাকরিজীবী ভগ্নিপতি মল্লিক শফিকুল ইসলাম এবং আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমরা নাকি প্রতাপ কুমার সাহাকে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করা হয়েছে। অথচ সেদিন এই ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। আমাদের অবস্থান সেদিন ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ছিলো যা মোবাইলের কল লিস্ট চেক করলে বেরিয়ে আসবে। এটি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবগত করলেও তিনি আমাদের কথা শোনেননি। প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার জন্য আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জঘন্য মিথ্যাচার খবর প্রকাশ করে যাচ্ছেন লোলিত মোহনের সন্তানসহ জনৈক স্বার্থন্বেষী ব্যক্তিরা।

বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন হওয়ার পরেও তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদীর সাথে যোগসাজস করে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ঘটনার দিনে উল্লেখিত সময়ে আদৌ ঘটনাস্থলে আমরা ছিলাম না মর্মে জানানোর পরও বাদী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আইও। সে সময় আমরা বাদী ও স্বাক্ষীদের অবস্থান মোবাইল ট্রেস করার কথা আইওকে জানালেও তিনি আমাদের কথা না শুনে বাদী পক্ষের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন।

শুধুমাত্র আমাদের কল লিস্ট চেক করে আমাদের অবস্থান অবগত হয়েও সেটি আমলে না নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধেই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। নির্ভুল ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অবশ্যই বাদী এবং স্বাক্ষীর কললিস্ট চেক করে তাদের অবস্থান অবগত হওয়ার প্রয়োজন ছিলো। অথচ আমরা ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরেই অবস্থান করছিলাম। যা মোবাইলের কললিস্ট চেক করলে পাওয়া যাবে। এরপরও আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি আমার চাকরিজীবী ভগ্নিপতিকেও জড়িয়ে দেওয়ায় তার চাকুরির নিশ্চয়তা নিয়ে শংকিত আমরা। একটি অপরাধের প্রতিবাদ করায় আজ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হয়রানি হচ্ছেন। মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছেন। আমরা ওই চক্রান্ত কারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একের পর এক এধরনের চক্রান্ত হচ্ছে। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।