সাতক্ষীরা

সুন্দরবনে বন কর্মীকে মারপিটের করে আটকে রাখার অভিযোগ

By daily satkhira

July 02, 2023

শ্যামনগর প্রতিনিধি:

সুন্দরবনে সাতক্ষীরা রেঞ্জের জব্দকৃত নৌকা বিক্রির বিষয় জানতে চাওয়ায় বন কর্মীকে মারপিট করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের আওতাধীন পুম্পকাটি ফাঁড়ির বনবিভাগ অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধ প্রবেশে বেশ কিছু নৌকা জব্দ করেন ৷

পুম্পকাটি ফাঁড়ির বনবিভাগ সাবেক ইনচার্জ পরিবর্তন হয়ে নতুন ইনচার্জে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোঃ রাশিদুল হাসান ৷ পরপরই যোগদান করেন (বিএম) বোর্ডম্যান সাইফুল ইসলাম ৷

গত ২৪ জুন ২০২৩ তারিখ ৭ টার দিকে নতুন ইনচার্জ রাশিদুল হাসান পূর্বে জব্দকৃত নৌকা থেকে একটি নৌকা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আজগার আলী জামাই আল-আমিনের কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ৷ ২৫ তারিখ রবিবার ২০২৩ সকালে বোর্ডম্যান সাইফুলের চোখে পড়ে একটি নৌকা নেই ৷ বিষয়টি নিয়ে সাইফুল তার সহকর্মীদের কাছে কোন উত্তর না পেয়ে ইনচার্জ মোঃ রাশিদুল হাসানের কাছে জিজ্ঞাসা করেন ৷

এসময় অফিসার ইনচার্জ রাশিদুল হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে বোটম্যান সাইফুলকে মারপিট করে ঘরে আটকে রাখে ৷ সুন্দরবনের গভীরে হওয়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় চিকিৎসার অভাবে সাইফুল শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ কোনমতে মোবাইলে নেটওয়ার্ক পেয়ে বুড়িগোয়ালিনীর স্টেশন কর্মকর্তা নরুল আমিনকে অবগত করেন ৷ বার বার ফোন দিয়েও যখন স্টেশন কর্মকর্তা নরুল আমিন ফোন কেটে দেন তখন সাইফুল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহম্মদ মহাসিনের কাছে মোবাইলে জানালে তিনি স্টেশনের সদস্যদের মাধ্যমে সাইফুলকে ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে উদ্ধার করেন ৷

সাইফুল উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন ৷ (বিএম) বোর্ডম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাকে গরানের লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে ৷ স্টেশন কর্মকর্তার কাছে বার বার ফোন দিয়েও যখন ফোন কেটে দেন তখন বিভাগীয় স্যারের কাছে জানালে কাঠেশ্বর ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর ইসলাম আমাকে উদ্ধার করেন ৷

কাঠেশ্বর ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর ইসলাম বলেন, উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে সাইফুলকে স্টেশনে এনেছিলাম ৷

বুড়িগোয়ালিনীর স্টেশন কর্মকর্তা নরুল আমিন বলেন, বাবুর্চির সাথে গোলযোগ করায় উপরে নির্দেশে কাঠেশ্বর ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর ইসলামের সাথে নিয়ে তাকে স্টেশনে নিয়ে এসেছি ৷

তবে স্টেশন কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী বাবুর্চির সাথে গোলযোগের কোন সত্যতা প্রমান মেলেনি ৷ নৌকা বিক্রির ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তার এমন বক্তব্য ৷

সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা কেএম ইকবাল হাসান চৌধুরী বলেন, এগুলো আমাদের অফিশিয়াল বিষয় ৷ আমাদের অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ৷ সে চাকুরির বিধিমালা লঙ্ঘন করেছে ৷ তার বিরুদ্ধে উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষকে বলে শাস্তির ব্যবস্থা করবো ৷