আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার আইলা কবলিত প্রতাপনগর ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের নতুন ঘরের আশায় আনন্দে আত্মহারা ১২১ পরিবার। কিছুদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রাণ প্রকল্পের ঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রতাপনগরের হতদরিদ্র মানুষ। এদিকে আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান এ প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারী বর্ষণে দু-একটি ঘরের বালু ধসে নির্মাণাধীন ঘরে কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।
এ নিয়ে এলাকার একটি স্বার্থনেশি মহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঐ ঘর দুইটি পুনরায় পূর্ণনির্মাণ কাজ শেষ করেছে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু দাউদ সহ স্থানীয়রা জানান বিগত ২০-২১ ও ২২ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, আইলা, সিডর সহ বিভিন্ন দুর্যোগে ইউনিয়নটি কয়েক দফায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বহু পরিবার বাস্তচিত হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে।
সরকার এ সকল মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা বিবেচনা করে আশ্রয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। এর অংশ হিসাবে প্রতাপনগর আবদারের মোড় নামক স্থানে ৩ একর ৬৬ শতক জমি অধিগ্রহণ করে ১২১ টি মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতাপনগরের হতদরিদ্র অসহায় বাস্তহীন মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন ঘর পাওয়ার আশায় ইউনিয়নটিতে চলছে এখন উৎসবের আমেজ। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান বলেন, বিগত ২১-২২ অর্থবছরে সারা বাংলাদেশের ন্যায় আশাশুনিতে প্রত্যেক ইউনিয়নে অসহায় মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতাপনগর ইউনিয়নটি দুর্গাম এবং আইলা কবলিত এলাকা সে কারণে ৩ একর ৬৬ শতক জমি অধিগ্রহণ করে বাস্তচিত মানুষের ১২১ খানা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘর প্রতি দু’লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দকৃত টাকা যথা-যথ ভাবে নির্মাণ কাজে সর্বমোট ৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়েছে। অচিরে উক্ত ঘর গুলির চাবি হস্তান্তর করে উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি জানান।