আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার পুটুলিয়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কলেজ ছাত্রীর নাম আনজুয়ারা খাতুন (২০)। সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও কলারোয়া উপজেলার পুটুলিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী। তাদের সাত মাস বয়সের মিম নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে, আঞ্জুয়ারা তার মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা। আনজুয়ারার বাবা যশোর জেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের বাউশা গ্রামের কওছার আলী জানান, গত ২০১৩ সালে কলেজ ছাত্র সোহরাব হোসেনের সাথে তার মেয়ে আনজুয়ারার বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তারা সুখেই ছিলো। মেয়ে আনজুয়ারা সাতক্ষীরা শহরের একটি ছাত্রী নিবাসে থেকে লোখাপড়া করত। মাঝে মধ্যে নিজ বাড়ি এসে পরিবারের সাথেও সময় কাটাতো। নিহতের স্বামী সোহরাব হোসেন জানান, গত চার দিন আগে তার স্ত্রী আনজুয়ারা সাতক্ষীরা থেকে বাড়ি আসে। স্ত্রীর সাথে তার কোন ঝগড়া বিবাদও হয়নি। অন্যান্য দিনের মত রোববার রাতে ভাত খেয়ে তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সেহরির সময় ঘুম থেকে উঠে ঘরের চালে উড়না পেচিয়ে ঝুলান্ত অবস্থায় তার স্ত্রীকে তিনি দেখতে পান। এসময় তার আতœচিৎকারে বাড়ির সাবাই ছুটে এসে আনজুয়ারাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, আনজুয়ারার বাবা গরীব মানুষ। অভাবের তাড়নায় স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থায় তার বিয়ে দেন। আনজুয়ারা ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছিলো। রমজানমাসে জামাই ও পরিবারের সাথে সময় না দিয়ে লেখাপড়া নিয়ে শহরে ব্যস্ত থাকায় তার মায়ের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এছাড়া তার (আনজুয়ারার) মা তাকে লেখা পড়ায় নিরুৎসাহিত করে সন্তান মানুষ করার বিষয়ে বার বার তাগিদ দিতো। এসব কারনে মেধাবী আঞ্জুয়ারা তার মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহত আনজুয়ারার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, কি কারনে আনজুয়ারা আতœহননের পথ বেছে নিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।