তালায় মাদকাসক্ত স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিবাহ করায় পিতা-মাতাসহ পরিবারের সদস্য মিলে বর্তমান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ এক গৃহবধূ। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার তালার তেরছি (কাটিপাড়া) গ্রামের সন্তোষ কুমারের কন্যা পপি রাণী দাস।
তিনি বলেন ২০১৭ সালে পারিবারিক ভাবে যশোর জেলার মনিরামপুরের মহিতোষ বিশ্বাসের পুত্র শোভন বিশ্বাসের সাথে আমার বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের পর ধীরে ধীরে জানতে পারি আমার স্বামী শোভন বিশ্বাস মাদকাসক্ত ব্যক্তি। নেশা করে প্রায় প্রতিদিন আমাকে মারপিটসহ নির্মম নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি পিতা- মাতাকে অবগত করালেও পিতা-মাতা বলে ধৈর্য ধর সব ঠিক হয়ে যাবে। এভাবেই প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও স্বামী শোভন বিশ^াসের কোন পরিবর্তন হয়নি উল্টো নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পিতা-মাতাকে জানিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় আমি আত্মহত্যার চেষ্টাও করি। পরে শোভন বিশ^াসের বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসি এবং তাকে তালাক পাঠিয়ে দেই। এর কিছুদিন পর তেরছি গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাশের পুত্র উজ্জল কুমার দাশের সাথে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়। সে আমাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। উজ্জল কুমার দাশ আজীবন আমার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলে একপর্যায়ে আমরা সনাতন ধর্মীয় মতে কোর্ট ম্যারেজ করি। বিবাহের পর সুখে শান্তিতেই বর্তমান স্বামী উজ্জল কুমার দাসের বাড়িতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আমার পিতা সন্তোষ কুমার দাশ, মাতা জ্যোৎস্না রাণী দাস, প্রকাশ কুমার দাস, জেটি পূর্ণিমা রাণী দাস, প্রতিবেশী কাকা জয়দেব বিষয়টি মানতে নারাজ এবং কৌশলে আমাকে পুনরায় পূর্বের মাদকাসক্ত স্বামীর ঘরে পাঠাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সেখানে আমার জীবন নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমান স্বামীকে ত্যাগ না করায় আমার পিতার নেতৃত্বে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট, পুলিশ দিয়ে হয়রানি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। তাদের কারনে আমার বর্তমান স্বামীর পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
তিনি আরো বলেন আমি সুখে শান্তিতে আছি এবং বর্তমান স্বামীর সাথেই সংসার করতে চাই। আমি যেখানে সুখে থাকব সেটিই পিতা-মাতার প্রত্যাশা হওয়ার কথা হলেও আমার পিতা-মাতা কেন জানিনা সেটি মেনে নিতে পারছে না। আমার জীবন গেলেও ওই মাদকাসক্ত স্বামীর ঘরে আর আমি ফিরে যেতে চাই না। বর্তমান স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত পূর্বক যাতে বর্তমান স্বামীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি