নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিন গৃহবধুসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে এক গৃহবধুর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডা এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, কাপসন্ডা গ্রামের শাহাজান আলীর স্ত্রী সালমা খাতুন, আব্দুর রহমানের পুত্র রহমত সরদার, মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম এবং মোহাম্মাদ আলীর কন্যা খাদিজা খাতুন।
ভুক্তভোগীরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার মৃত নাজির আলী গাজীর পুত্র আলী বক্স এবং তার পুত্রদের সাথে শাহাজান আলীগংয়ের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ১ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে আলী বক্স গাজীর নেতৃত্বে তার পুত্র শিমুল গাজী, আব্দুল্লাহ গাজী, হযরত আলী গাজী এবং তার ভাই মাওলা বক্সসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাহাজান আলীদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তারা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, লুটপাট করতে থাকে। এতে বাধা দেওয়া তাদের অতকির্ত মারপিট করে এসময় সালমা খাতুন, সেলিনা বেগম, খাদিজা খাতুন এবং রহমত আলী আহত হয়। এছাড়া সালমা খাতুনের স্বামী-শ^শুর রেনুপোনার ব্যবসা করে। ফলে ঘরে থাকা ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় উল্লেখিত ব্যক্তিরা। উক্ত সময়ে বাড়িতে অন্যন্যা পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগ বুঝেই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।
আহতদের মধ্যে সালমা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী সালমা খাতুনের শ^শুর মনিরুল ইসলাম উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি এজাহার দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।