নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোমরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমির প্রাচীর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টার ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। ২৬ আগস্ট বিকাল ৫টায় সরেজমিনে পরিদর্শন যান নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিত্যনন্দ আমিন, শিব পদ গাইন, সদর উপজেলার দপ্তর সম্পাদক প্রবীর পোদ্দার, কার্যকরি সদস্য দিপংকর ঘোষ, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক অমিত কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক অরবিন্দ কর্মকার,
পৌর শাখার আহবায়ক বাধন ঘোষ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভোমরা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কার্ত্তিক চন্দ্র ঘোষ, স্থানীয় ব্যবসায়ী গণেশ চন্দ্র ঘোষ, ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, ভোমরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর সাজ্জাদ গাজী, ৫নং ওয়ার্ডের আনছার আলী গাজী প্রমুখ। এর আগে গত ১৮ আগস্ট দুপুরে ভোমরা পূর্বপাড়া এলাকায় কিনু বিশ^াসের জমি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা করে। এঘটনায় তিনি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে পরিদর্শনে যান।
উল্লেখ্য: ৬৫নং ভোমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ১.৬০ শতক জমি রয়েছে ভোমরা পূর্বপাড়ার মৃত কার্তিক চন্দ্র বিশ^াসের পুত্র কিনু কুমার বিশ^াসের। গত ১৮ আগস্ট যুবলীগ নেতা আ: মজিদ গাজীর পুত্র মোত্তালেব হোসেন পলাশ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে উক্ত সম্পতিত্তে থাকা প্রাচীর ভাংচুর করে এবং উক্ত সম্পত্তি দখলে চেষ্টা করে। এসময় তারা প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে এবং খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে। এঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগীর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা নিরাপত্তা চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।