নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) আবুল কালাম আজাদ বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি দেবব্রত কুমার মিস্ত্রি ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর হতে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার(চলতি দায়িত্ব) হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু সকল অফিসিয়ার কাগজপত্রে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসাবে উল্লেখ করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তাকে মনোনীত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আবুল কালাম আজাদ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়া সত্তে¡ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভুল বুঝিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে মনোনয়ন গ্রহণ করেন। যে কারণে উপজেলার মুড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাকে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব প্রদানের কারনে উক্ত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্বে) আবুল কালাম আজাদ শিক্ষক-কর্মচারীগণের নিকট এমপিও ভুক্তির জন্য ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ দাবি করেন। তার চাহিদামত টাকা দিতে না পারলে বিভিন্ন অযুহাতে এমপিও ফাইল রিজেক্ট করেন। সম্প্রতি ৩০টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন পদে যোগদানকৃত শিক্ষকগনের এমপিওভুক্তির জন্য মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন। অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগবোডেৃর সরকারি বিধি অনুযায়ী সদস্য হওয়ার কারনে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ হিসাবে ২ থেকে ৩লক্ষ টাকা দাবি করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নামে উৎকোচ দাবি করে আসছেন। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদের ব্যহৃত মোবাইল নাম্বারে রোববার সন্ধ্যায় একাধিবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ##