বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অশিম কুমার মৃধা আবার ও বেপরোয়া। বিলবোর্ডে ছবি না দেওয়ায় সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক ও মৎস্যজীবী লীগ নেতাকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক উপজেলা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ১২ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অশিম কুমার মৃধা ০১৯১৬৬৮৬০৮২ থেকে ফোন করে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেই। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে বিল বোর্ডে আমার ছবি ব্যাবহার করিশনি কেনো। এ এলাকায় আমার অনুমতি ছাড়াই বিলবোর্ড লাগাবিনা। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একে ফজলুল হক এর ছবি কার অনুমতি নিয়ে ব্যাবহার করেছিস। আমি সভাপতি সাহেব এর অনুমতি নিয়ে ব্যাবহার করেছিলাম। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একে ফজলুল হক সাহেব সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হবার পর শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে।
পুলিশে সোপর্দ করার জন্য উপস্থিত থাকা শ্যামনগর থানার এসআই পিংকু ও এএসআই মেহেদী হাসান কে আটক করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে উপজেলা মৎস্যজীবীলীগ যুগ্ন আহবায়ক মোঃ মুজিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান ও ইউপি সদস্য হরিদাস হালদার ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে আমাকে নিয়ে আশে।
শ্যামনগর থানার এসআই পিংকু জানান, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম আমাদের একটি তদন্তের কাজে যেয়ে দেখে চেয়ারম্যান বাবু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উচ্চসরে কথাবার্তা বলছে, আপনাদের ঝামেলা আপনার আমারেন বিনা অপরাধে আমি কাউকে অ্যারেস্ট করতে পারি না, আমরা সেখান থেকে চলে আসি।
ইতিপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অসীম মৃধার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন উপ সদস্য অনাস্থা এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় লিখিত অভিযোগ দেন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলে বাওয়ালিদের চাউল বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ এনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অভিযোগ দেওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে নির্যাতন করেন।
ইতিপূর্বে মুন্সিগঞ্জ বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস ঘর নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অশালীন আচরণ করার তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে নানা অভিযোগ তুলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন । তার এই একের পর এক মানহানিকর কার্যকলাপের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মারুফ জানান, শ্যামনগর উপজেলা মৎস্যজীবীলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একে ফজলুল হক সাহেব কে অভিনন্দন জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জয় সাহেবের ছবি সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাতক্ষীরা-৪ আসনে সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা সাঈদ উজ্জ জামান সাঈদ এর ছবি ব্যবহার করায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমাদের নেতৃবৃন্দ যে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আমি আমার সংগঠনের নেতাকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে উদ্বোধন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এবং আইনে সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।