সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

By daily satkhira

December 14, 2023

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে দীনেশ কর্মকারের জমিতে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় বধ্যভূমির পার্শ্ববর্তী সড়কে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যাণার্জী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. ওসমান গণি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুব মৈত্র’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তৌহিদুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, বাসদ নেতা অ্যাড, খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. ইউনুস আলী, হেনরী সরদার, অধ্যাপক শুভ্র আহম্মেদ, কবি স.ম তুহিন, উদীচির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান,কমঃ আদিত্য মল্লিক, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যো¯œা দত্ত প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসীন আলী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য স্বপন কুমার শীল, জেলা কমিটির সদস্য মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, নির্মল সরকার, শিবপদ গাইন, আমির হোসেন খান চৌধুরি, ্আলী হোসেন, মকবুল অন্যরা।

বক্তারা বলেন ১৯৭১ সালের আজকের দিনে বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানিরা দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিলো। কিন্তু ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি আজো এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সঙ্গে মিশে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। যে কারণে গত ১৫ বছর টাকা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকা ও সদর আসনে একজন মুক্তিযোদ্ধা সাংসদ থাকাকালিন সময়ে ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল শরণার্থী হিসেবে ভারতে যাওয়ার সময় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থানকারি চার শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশুকে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলার জায়গায় আজো স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি।

এমনকি বধ্যভূমি কিনে সেখানে এক মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি করেছেন। ফলে বধ্যভূমিটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে। সরকারিভাবে ওই জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে স্মৃতিসৌধ বানানোর উদ্যোগের কথা বললে আজো দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। এমনকি বধ্যভূমির পাশের রাস্তাটি একজন রাজাকারের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ সবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে না তুললে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপন্ন হবে।#