নিজস্ব প্রতিনিধি : কালিগঞ্জের নলতায় অবৈধভাবে এক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকের রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে থাকা দোকানঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে। ভাংচুরের পর মামলা না করতে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করা হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইটভাটা মালিক আব্দুর রশিদ। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ এইচ এম আনিছুর রহমান।
জানা গেছে, নলতা মৌজায় এস এ ১৫৬০ নং খতিয়ানে ১৩২২ নং দাগের ১৯ শতক জমির এস এ মালিক নন্দ রানী দত্ত। তিনি উক্ত ১৯ শতক সম্পত্তি দুখেরাম সরকারের নামে লিখে দেন। দুখেরামের ৮ পুত্রের মধ্যে দুইপুত্র নীলু ও তিলিপ (কেদার) তাকে অংশ থেকে ২ শতক সম্পত্তি ২০২১ সালে নলতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার পুত্র এ এইচ এম আনিছুর রহমানের কাছে বিক্রয় করেন। এরপর থেকে সেখানে দোকানঘর নির্মান করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন আনিছুর রহমান। ওয়ারেশ হিসেবে নীলু ও তিলিপ (কেদার) এর প্রাপ্য সম্পত্তি ৪.৭৪ শতক। এর মধ্যে দুই শতক বিক্রির পর তারা একটি কিন্ডার গার্টেনের কাছে বিক্রিয় করেন ৩ শতক। অথচ তারা সম্পত্তি পাবে ২.৭৪ শতক।
এদিকে পূর্ব নলতা গ্রামের মৃত মাজেদ গাজীর পুত্র রশিদ গাজী ওই দুই ভাইয়ের কাছ থেকে আরো ২ শতক জমি ২০১৪ সালে ক্রয় করেছেন মর্মে দাবি করে আসছেন। কিন্তু সেখানে ওই দুই ভাইয়ের কোন সম্পত্তি নেই।
জমির দখল বুঝে না নিয়ে ওই দলিলের বুনিয়াদে আব্দুর রশিদ প্রভাব খাটিয়ে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমানের সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি দুখেরামের আরেকপুত্র বিশ^নাথকে বাদী করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলাও দায়ের করে। কিন্তু পরবর্তীতে বাদী কাগজপত্রসহ হাজির না হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে বিতাড়িত হয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর ২৩ তারিখে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে থাকা দোকানঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেন আব্দুর রশিদ। এর প্রতিবাদ করতে গেলে আব্দুর রশিদ খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। তাদের হুমকিতে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী অসহায় শিক্ষক আনিছুর রহমান।
তবে ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রশিদ গাজী বলেন আনিছুর মাস্টারের সেখানে কোন জমি নেই। মাস্টার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মানে না। আমরা একাধিকবার শালিস করেছি কিন্তু সমাধান হয়নি।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহীন বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ব্যস্ততার কারনে হয়ে উঠছে না। তবে খুব শীঘ্রই উভয় পক্ষ কে সাথে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করে দেবো। ###