শ্যামনগর

শ্যামনগরে নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কান্ড!

By daily satkhira

January 24, 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সাথে অসাদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২৪ জানুয়ারী(বুধবার) এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ মোঃ আবুল খায়ের, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, মোঃ হাফিজুর রহমান, নাছিমা খাতুন ও শান্তি রাণী জানান-প্রধান শিক্ষক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান বিধিমোতাবেক শিক্ষক হাজিরা খাতায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের চাকুরী নিয়মিত করণের তালিকার ক্রম অনুযায়ী শিক্ষক হাজিরা নিশ্চিত করণের আবেদন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে গত ২৪ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ৯ টা ৪৫ মিঃ দিকে শিক্ষক/শিক্ষিকাদের শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না দিয়ে প্রধানশিক্ষক খাতা টি ড্রয়ারে তালাবদ্ধ করে রাখলে ক্ষোভের জন্ম দেয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষকবৃন্দ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রধানশিক্ষকের সাথে কথা বলে হাজিরা খাতা বের করে স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করেন। তারপর শুরু হয় সকল শ্রেণিন কক্ষ থেকে চেয়ার সরানো, শিক্ষক মিলনায়তনে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে আলাপ চারিতা জানার অপচেষ্টা, শিক্ষিকাদের কমন রুমে তালা, ড্রয়ারে তালা, আইসিটি রুম থেকে সহকারি শিক্ষক কওছার আলী বের করে দিয়ে কর্মচারী সাইফুল ইসলাম কে দিয়ে রুমে তালা, প্রচন্ড শীতের সকালে লেজার প্রিরিয়াডে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রৌদ্রে বসতে না পারার জন্য প্লাষ্টিকের চেয়ার গুলো তালা বদ্ধ করে রাখা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা বিষয়টি বুঝতে পারলে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম হয়। প্রধানশিক্ষক কার্যালয়ে শিক্ষকদের মিটিং এ প্রধান শিক্ষক বলেন, বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন তাদের বিরুদ্ধে খারাপ প্রতিবেদনের হুমকী দেওয়া হয়। শিক্ষকদের সাথে প্রধানশিক্ষক আব্দুল মান্নান এর এহেন অসাদাচরণের ফলে শিক্ষক/শিক্ষিকাদের মানষিক নির্যাতন, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষণ শিখানো কার্যক্রম প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, উল্লেখিত শিক্ষকরা স্কুলের সঠিক সময়ে আসেননি। যারা ৯.৩৫ মিনিটে বিদ্যালয়ে এসেছেন তাদের স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়েছে। যারা এর পরে এসেছেন তাদের স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রাখা হয়। পরে অঞ্চলের উপ-পরিচালক স্যার বলেন যে যে সময় এসেছে সেই সময় লিখে স্বাক্ষর করান। সে অনুযায়ী স্বাক্ষর করানো হয়েছে।