সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাথা ফাটিয়েছেন সহকারী শিক্ষক

By daily satkhira

February 01, 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পরীক্ষার রুটিনের সময় নিয়ে বিতর্কের জেরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন সহকারী শিক্ষক। গত ৩১ জানুয়ারি আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক এটিকে নিছক ভুলবোঝাবুঝি বলে দাবি করেছেন। যদিও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অভিযুক্ত শিক্ষককে ৭দিনের জন্য বরখাস্ত করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিক হাসান পুরাতন সাতক্ষীরা মাদ্রাসাপাড়া এলাকার মৃত আশরাফ উদ্দিনের পুত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাদত হোসেন দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামের শাহাজান আলীর পুত্র।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, দাখিল(এসএসসি) পরীক্ষার কেন্দ্রের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও অফিসে গিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী অফিসিয়াল কাজে যেতে হলে সিনিয়র কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে হয়। সে অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জি এম শফিক হাসানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলা প্রভাষক শাহাদত হোসেনকে রুটিন এর সময়সহ দায়িত্বের বিষয়ে সচেতন করছিলেন। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ঘটে এঘটনা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক জি এম শফিক হাসান জানান, ৩১ জানুয়ারি সাতক্ষীরার আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জরুরি কাজে বাইরে যান। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে যান। সকালে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দায়িত্বগ্রহণের পর আলিম দ্বিতীয় বর্ষের রুটিনের সময় নিয়ে বিতর্ক হয় সহকারী শিক্ষক শাহাদত হোসেনের সাথে। বিতর্কের একপর্যায়ে হাতে থাকা কড়ির মগ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত শিক্ষক সাহাদাত হোসেন বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি মাত্র। আমি তাকে মারিনি। রুটিনের সময় নিয়ে বির্তকের জেরে তিনি আমাকে থাপ্পড় মেরেছে। আমি ঠেলে দিতে গেলে উনি পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)মাও: হাবিবুর রহমান বলেন, অফিসিয়াল কাজে বাইরে যাওয়ার জন্য সিনিয়র শিক্ষক হওয়ায় শফিককে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি তার দায়িত্ব পালন করাকালিন সময়ে তর্কবির্তকের জেরে বাংলা প্রভাষক মগ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। যা অত্যন্ত দু:খ জনক ঘটনা। তিনি এঘটনায় কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।

আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার সভাপতি গোলাম মোরশেদ জানান, এঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে ৭ দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।