সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় শারিরীক প্রতিবন্ধীর পরিবারের সদস্যকে পিটিয়ে জখম

By daily satkhira

February 17, 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আগরদাড়িতে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শারিরীক প্রতিবন্ধীর স্ত্রী, মাতা ও শিশু সন্তানসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা সদরের চুপড়িয়া (আগরদাড়ী ইউনিয়ন) গ্রামের মৃত সদর উদ্দীন মোল্ল্যার ছেলে প্রতিবন্ধি আবুল বাসার।

তিনি বলেন আমি একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী মানুষ। মায়ের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। উক্ত সম্পত্তির দলিল মায়ের নামে এবং মায়েরই নামীয় সম্পত্তি। কিন্তু ভুল বশত পিতার নামে রেকর্ড হয়ে যায়। যদিও আমরা রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়ের করেছি। আমার চাচাতো ভাইয়েরা ওয়ারেশ দাবি করে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়ের পায়তারা শুরু করে। সেখানে আদালত নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন। কিন্তু মৃত নজির উদ্দীনের পুত্রও সোহরাব হোসেন গং আদালতের নির্দেশনা না মেনে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলসহ অন্যত্র বিক্রয়ের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এর জের ধরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ তারিখে সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই সারিয়াত, শাহাবুদ্দিন, ইন্দিরা গ্রামের কামরুল ইসলাম, মুক্তার মোড়লের পুত্র মিকাইল হোসেনসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়া লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় আমার মা প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার মাকে মারপিট শুরু করলে আমার বোন চম্পা খাতুন এবং স্ত্রী নূর জাহান খাতুন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সে সময় আমার ১৩ বছর বয়সী শিশু পুত্রকে অমানবিকভাবে মারপিট করে। এমনকি আমার স্ত্রী এবং বোনের পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা চলে যাওয়ার সময় আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় ইতোমধ্যে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন প্রয়াত মৃত সদর উদ্দীনের কোন পুত্র সন্তান ছিলো না। ফলে শিশু অবস্থায় আমাকে দক্তক নিয়েছিল। যদিও আমি কখনো বুঝতেই পারিনী মৃত সদর উদ্দীন এবং মনোয়ারা খাতুন আমার পিতা-মাতা নন। পিতা মারা যাওয়ার পরে জমির বিরোধ হলে বিষয়টি অবগত সামনে আসে। আমার পিতার ভাইপোরা তাকে নি:সন্তান হিসেবে দাবি করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। অথচ উক্ত সম্পত্তি আমার মাতা নিজ নামে ক্রয় করেছিল। সেই সম্পত্তি ভাগ তাদের দাবি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। শুধুমাত্র আমি শারিরীক প্রতিবন্ধী এবং অসহায় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত সোহরাবগং আমাদের সম্পত্তির দখল নিতে চায়। আর এ উদ্দেশ্যেই বাড়ির নারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি আমার প্রাপ্য সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।